জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার ২৬ লাখ ২১ হাজার ৭০৪ জন। এর মধ্যে নতুন ভোটার ৪ লাখ ৭৩ হাজার ৮৩ জন। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই জেলার হেভিওয়েট প্রার্থীদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী।
কৃষিভিত্তিক এ অঞ্চলে বিগত সময়ে কৃষির উন্নয়নে বড় পরিসরে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। যাতায়াত ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় জায়গা থাকলেও গড়ে উঠেনি বড় শিল্প-কারখানা। অপার সম্ভাবনাময় পর্যটন শিল্পেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।
তরুণ ভোটাররা বলেন, 'আমাদের কৃষিখাতের আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। বিশেষ করে কৃষিজাত পণ্য সংরক্ষণে পর্যাপ্ত কোল্ড স্টোরেজ দরকার। পাশাপাশি বড় বড় শিল্প কারখানা হলে এ অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাবে।'
নোয়াখালীতে ইপিজেড, নৌ বন্দর ও সুবর্ণচর পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ হলে স্থল ও নৌপথে বহুমুখী বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন, 'এ জেলায় শিল্পায়নের জায়গা ও পরিবেশ আছে। এখন ভারী শিল্প-কারখানা হলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।'
নোয়াখালী-৬ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নোয়াখালীর উন্নয়নই আমাদের ভাবনা। আগামীতে কীভাবে এ উন্নয়নকে এগিয়ে নেয়া যায় সেজন্যই কাজ করবো।’
নোয়াখালী-৫ আসনের জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ বলেন, 'এ অঞ্চলে গ্যাসের তীব্র সংকট রয়েছে, যার সমাধান প্রয়োজন। এছাড়া নদীভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে কাজ করবো।'
৪ হাজার ২০২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপকূলীয় জেলা নোয়াখালীতে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষ বসবাস করেন। প্রায় ২০০ বছর ইতিহাসের এই জেলায় প্রকৃতির অপার রূপ আর সম্পদ সমৃদ্ধ উর্বর ফসলের ভান্ডার রয়েছে। এছাড়া কৃষিজাত পণ্য, পশু ও মৎস্য সম্পদ রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে এখানকার মানুষ। তবে কালের পরিক্রমায় প্রকৃতির খেয়ালে বহুবার নোয়াখালীর উপকূল ভেঙেছে আবার গড়েছে।