বরিশাল জেলার আয়তন ২ হাজার ৭৮৪ দশমিক ৫২ বর্গ কি.মি। আর এ জেলায় ১৯টি নদ-নদী রয়েছে। এছাড়া অসংখ্য খাল, জলাশয় ও দুর্গম এলাকা আছে। প্রায় প্রতিবছর এ অঞ্চলের মানুষকে একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হয়। তবে দেশের অন্য বড় শহরগুলোর মতো বরিশালে শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কল-কারখানা গড়ে ওঠেনি।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এখানকার মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। এই নির্বাচনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্থানীয় উন্নয়ন ও অর্থনীতি জড়িয়ে আছে। তাই আগামীর জনপ্রতিনিধি বাছাই করতে নানা হিসাব-নিকাশ করছেন ভোটাররা।
বরিশালে নতুন ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ জন। আর নির্বাচন ঘিরে এসব তরুণ ভোটারদের প্রত্যাশাও রয়েছে। তারা বলছেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের পাশাপাশি কর্মসংস্থান তৈরিতে আগামীর জনপ্রতিনিধিরা কাজ করবেন।
বরিশালে মোট ভোটারের প্রায় ৭০ ভাগ কর্মজীবী, যার সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৭১ জন। তারা বলেন, আমরা জনবান্ধব প্রতিনিধি চাই, যারা বরিশালের কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নে কাজ করবেন। একইসঙ্গে নতুন শিল্প-কারখানা স্থাপনে উদ্যোগ নেবেন।
জেলায় কল-কারখানার সংখ্যা মাত্র ৩৮৫টি। আর বিসিকে মোট শিল্প প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৮৯টি, এর মধ্যে উৎপাদনে আছে ১২৫টি।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, 'এ অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন প্রয়োজন। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠান বৃদ্ধির বিকল্প নেই। সবমিলিয়ে যারা আগামীর প্রতিনিধি হবেন তাদেরকে তরুণ ভোটারদের প্রত্যাশার প্রতি নজর দিতে হবে।'