ইসরাইলি বর্বরতা থেকে রেহাই পচ্ছেন না দক্ষিণে আশ্রয় নেয়া গাজাবাসীরাও। উত্তরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যেমন করে দক্ষিণমুখী করা হয়েছিলো তাদের, ঠিক একই কায়দায় এবার ভূখণ্ডটি থেকেই বের করে দেয়ার পায়তারা করছে ইসরাইল।
হত্যাযজ্ঞ চালানো ছাড়াও জ্বালানি, খাবার, পানি ও চিকিৎসা ব্যবস্থায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে দখলদার বাহিনী। ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসনের মাঝে এখন ক্ষুধা ও রোগবালাইয়ের সঙ্গে লাড়াই করছেন প্রায় ২০ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি।
ঘরহারা এসব মানুষের জীবনে বাড়তি কষ্ট যোগ করেছে তীব্র শীত। সব মিলিয়ে পৃথিবীর বুকে গাজা উপত্যকাকে যন্ত্রণার নরকে পরিণত করেছে ইসরাইল। তবুও জন্মভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও না যাওয়ার শপথ গাজাবাসীর।
এক বাসিন্দা জানান, 'ইসরাইলিরা আমাদের নিশ্চিহ্ন করতে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে এবং সবকিছু ধ্বংস করে দিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে উপত্যকা খালি করে অন্য কোথাও স্থানান্তর করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। হাসপাতালে বোমাবর্ষণ, পানি ও খাদ্যের প্রবেশাধিকার রোধ করা এই পরিকল্পনার অংশ।'
অন্য একজন বলেন, 'আমাদের গাজা উপত্যকা থেকে মিশরে ঠেলে দেয়ার পায়তারা করছে। যাই কিছু হোক- আমরা আমাদের জন্মভূমিতেই থাকব। এখানে তাঁবুতে বাস করতে হলেও অন্য কোথাও চলে যাব না।'
হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল যেকোন ধরনের ব্যবস্থা নেবে, এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এমনকি গাজাবাসীকে সীমান্ত দিয়ে মিশরসহ অন্য কোথায় পাঠানোর অপচেষ্টার অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, 'হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরাইল যেকোন ব্যবস্থা নেবে। গাজা উপত্যকায় স্থায়ীভাবে থাকার কোন ইচ্ছা আমাদের নেই। আমরা শুধু আমাদের নিরাপত্তা এবং গাজা সীমান্তের কাছে থাকা ইসরাইলিদের নিরাপত্তার জন্য কাজ করছি।'
ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকটের মধ্যে শুধু রাফাহ সীমান্ত দিয়ে যে পরিমাণ ত্রাণবোঝাই ট্রাক প্রবেশ করছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। এ অবস্থায় কেরেম শালোম সীমান্ত খুলে দিতে ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে সংস্থাটি।