এখন ভোট
0

দ্বৈত নাগরিকত্ব, আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর বিরুদ্ধে আপিল

আওয়ামী লীগের দুই প্রার্থীর মনোনয়নের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে ইসিতে আপিল করেছেন। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) প্রক্রিয়ার চতুর্থ দিনে গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে ৯৩টি আপিল দায়ের করা হয়।

কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে মুখোমুখি হচ্ছেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চান্নু ও আওয়ামী লীগের নাসিরুল ইসলাম খান আওলাদ। রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে চুন্নুর মনোনয়ন বৈধ হলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়। নাসিরুল ইসলাম খান প্রথমে ইসির কাছে তার প্রার্থিতা ফেরত, তারপর চুন্নুর প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে তার প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন। তার দাবি, মুজিবুল হক চুন্নু ঋণখেলাপির জিম্মাদার।

শুক্রবার নির্বাচন কমিশন প্রাঙ্গণে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ কার্যক্রমে গত ৩ দিনের তুলনায় সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের ভিড় ছিল কিছুটা কম। তবে, এদিন ৭ প্রার্থীর মনোনয়নের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে আপিল করেন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।

ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শামীম হকের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিগত্বের অভিযোগ এনে তার প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে আপিল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ। একই অভিযোগ সিলেট-৩ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমানেরও প্রার্থিতা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল করেন ওই আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

প্রার্থিতা গ্রহণের বিরুদ্ধে করা এসব আপিলের কারণ যদি যৌক্তিক হয়, তাহলে কমিশন তা বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, এরআগে রিটার্নিং কমিশনারের রিজেকশন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করা যেতো। তবে রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেও চলতি বছরে আপিল করা যাবে।

অন্যদিকে ক্রেডিট কার্ডে পণ্য কিনে টাকা পরিশোধ না করা, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন জটিলতা ও মামলার তথ্য গোপন করার দায়ে যাদের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তাদের অনেকেই প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেছেন ইসিতে।

আরও পড়ুন: