অভ্যন্তরীণ বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আগামী চার মাস এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে। রপ্তানি সীমিত করতে গত সেপ্টেম্বরে পেঁয়াজে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে নয়াদিল্লি, যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকার কথা ছিল। তবে বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা আসলো।
এ বছর বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে মূল্যস্ফীতির চাপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ভারতবাসী। দেশটিতে টমেটো থেকে পেঁয়াজ, প্রায় সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায়। এছাড়া মহারাষ্ট্রে বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির কারণে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়। ফলে স্থানীয় বাজারগুলোতে এ খাদ্যপণ্যটির দাম কেজি প্রতি ৪০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার ফলে বছরের শুরুতেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশাবাদী নয়াদিল্লি।
এদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে যখন ভারতীয়রা নাজেহাল তখন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ বাজারে স্বস্তি ফেরাতে মরিয়া কেন্দ্রীয় সরকার।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দেশ ভারত। ২০২১ সালে বিশ্ববাজারে ৪৭ কোটি ১০ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করে দেশটি। এদিকে ভারতের এ সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের বাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ২০১৯ সালেও ভারতে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৪৫ রুপিতে পৌঁছালে একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দেশটির সরকার। সে সময় মিয়ানমার, মিশর, তুর্কিয়ে ও চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাংলাদেশ।