মাস দু'য়েকের ব্যবধানে এক লাফে দাম ওঠে ৯৮ হাজার ৭৬৪ টাকায়। এরপর এপ্রিল এবং মে'তে এসে দুই দফায় কিছুটা কমে স্বর্ণালঙ্কারের দাম। তবে তা স্থায়ী হয়নি বেশিদিন। জুলাইয়ে এসে দাম ছাড়িয়ে যায় লাখ টাকা। সবশেষ নভেম্বরের শেষে সর্বোচ্চ রেকর্ড গড়ে স্বর্ণের দাম। ১৭৫০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ কিনতে গুনতে হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিশ্ব বাজারের সাথে দাম সমন্বয়, ডলারের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে এই খাতে। তাই বিক্রিতেও পড়েছে ভাটা।
এদিকে স্বর্ণের ঊর্ধ্বমুখী বাজারে বাজুসের নির্ধারিত দামের বাইরেও বিক্রি হচ্ছে স্বর্ণালঙ্কার। রাজধানীর তাঁতীবাজার এলাকা ঘুরে চোখে পড়ে, দামের তারতম্য। ভরিপ্রতি প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা কমে মিলছে অলংকার।
ক্রেতারা বলেন, ‘এখানে অন্য জায়গার থেকে স্বর্ণের দাম অনেক কম, তাই আমরা এখান থেকে কিনতে এসেছি।’
কিন্তু কেন এই দামের হেরফের? এখানকার ব্যবসায়ীরা বলছেন, বেশিরভাগই বাজুসের নিবন্ধনের বাইরে হওয়ায় এই তফাৎ। তাদের মতে, শো-রুম ভাড়া, বাড়তি ভ্যাট, কর্মচারী খরচসহ নানা কারণে দামে সমন্বয় করতে অনেকেই বেশি দামে বিক্রি করেন।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এখান থেকে পাইকাররা কিনে নিয়ে যান। যার কারণে এখানের থেকে দামে কিছুটা পার্থক্য থাকে।’
তবে এই যুক্তি মানতে নারাজ বাজুস। তাদের মতে, হলমার্ক চিহ্নিত ভালো মানের স্বর্ণের তফাতের ওপর নির্ভর করে দাম। গুণগত মানের প্রশ্নে তাই অনড় জুয়েলার্স সমিতি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ সভাপতি দেওয়ান আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে অবশ্যই স্বর্ণের মানের তফাত রয়েছে। বাজুস কর্তৃক নির্ধারিত দামের চেয়ে যেখানে কম বিক্রি করছে সেখানেই বুঝতে হবে মানের পার্থক্য রয়েছে। তাই ক্রেতাদের সচেতন থাকতে হবে।’
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি দিলিপ রায় বলেন, ‘নানা কারণে স্বর্ণের দাম বেড়ে যায়। এর মধ্যে ডলারের দাম, মূল্যস্ফীতি, ভ্যাট-ট্যাক্স রয়েছে।’
দেশেই রিফাইনারি কাঁচামাল আর কারখানা চালু করতে পারলে দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন বাজুস সংশ্লিষ্টরা।




