জেলার চূড়ামনকাটি, বারীনগর, হৈবতপুর, কাশিমপুর, বন্দবিলা, লেবুতলা ও ইছালিসহ বেশকিছু ইউনিয়নে শীতকালীন নানা জাতের সবজি উৎপাদন হচ্ছে।
যশোর সদর উপজেলার কৃষক নাজমুল হক এক বিঘা জমিতে বাঁধাকপির আবাদ করেছেন। তিনি বলেন, বাঁধাকপি চাষে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রায় ৮০ হাজার টাকার বেচাকেনা করা যাবে।
চলতি বছর জেলার প্রায় ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির চাষ হচ্ছে। এসব জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লালশাক ও পালংশাকসহ নানা জাতের শাকসবজি উৎপাদন করছেন কৃষকরা। শেষ মুহূর্তের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
কৃষকরা জানান, আগেভাগে বাজারে সবজি তোলার জন্য সবাই কাজ করছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে চাষিরা এবার সবজির ভালো দাম পাবে।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক সুশান্ত কুমার তরফদার বলেন, কৃষকদের কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি নানা পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ বছর জেলায় ৫ লাখ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে পাশের জেলাগুলোতেও আমরা সবজি সরবরাহ করতে পারবো।
আবহাওয়া ভালো থাকলে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও যশোরে রেকর্ড সবজি উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।