ধান উৎপাদনে দেশের অন্যতম জেলা নেত্রকোণা। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানে উৎপাদিত ধানের সিংহভাগ সরবরাহ করা হয় বিভিন্ন এলাকায়। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু করেন এ অঞ্চলের কৃষকর। কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহারে শ্রমের পাশাপাশি কমেছে কৃষকের খরচও।
জেলায় সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ব্রি-৭৫, ৩২, ৪৯, ৫২, ব্রিধান-৮৭, বিনা-১৭, স্বর্ণা, রঞ্জিতসহ উচ্চ ফলনশীল ধান। মানভেদে হেক্টর প্রতি ফলন মিলেছে চার থেকে পাঁচ টন। আর বাজারে প্রতিমণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৯শ' থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।
তবে, রয়েছে ভিন্ন চিত্র। চার একর জমিতে পাইজাম ধানের আবাদ করেছিলেন কয়েকজন কৃষক। চাহিদা কম থাকায় আশানরূপ দাম পাচ্ছেন না তারা।
জেলার অন্যতম বড় পাইকারি বাজার দুর্গাপুরে সপ্তাহে ৬ দিন হাট বসে, আশপাশের কয়েকটি উপজেলার কৃষকরা ধান নিয়ে আসেন এ বাজারে।
নতুন ধানের সরবরাহের সাথে বেড়েছে বেচাকেনা। প্রতিদিন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টন ধান। এছাড়া ছোট-বড় মিলিয়ে জেলার অর্ধশতাধিক ধানের হাটে প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
চলতি বছর জেলায় ১ লাখ ৩৪ হাজার ৯০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের আবাদ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে ১ হাজার ৫১০ হেক্টর বেশি। যেখান থেকে উৎপাদিত ফসলের দাম অন্তত ১ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। সময়মতো সার, বীজ ও কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দেয়ায় এবার আমনের উৎপাদন বেড়েছে বলে দাবি কৃষি বিভাগের।
নেত্রকোণা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করাসহ সরকারি বিভিন্ন সহযোগীতায় কৃষকদের সাহায্য করেছি। যার ফলে আমাদের যে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে।