বগুড়ার বাজারে শীতের আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। জেলার কৃষি বিভাগ বলছে, ৪ হাজার ১৭৫ হেক্টর জমি থেকে এবার ৮৩ হাজার ৫০০ টন শীতকালীন শাকসবজি উৎপাদন হবে।
এই মৌসুমে স্থানীয় চাহিদার দ্বিগুণের বেশি শাকসবজি উৎপাদনের প্রত্যাশা করা হলেও কৃষকের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
কৃষকরা বলেন, কীটনাশক ছাড়া এখন আর শাকসবজির চাষ কল্পনা করা যায় না। কিন্তু এ নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে কারো উদ্যোগ নেই। এতে করে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়, আবার দামও পাওয়া যায় না।
এদিকে শাকসবজির উচ্চ ফলনশীল বীজের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। প্রতিবছর দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলো বীজের দাম বাড়াচ্ছে। আর কৃষি উপকরণের উচ্চমূল্যের কারণে চাষাবাদ কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
বগুড়ায় মাঠজুড়ে চাষ হচ্ছে শীতকালীন শাকসবজি। ছবি: এখন টিভি
সমাজতান্ত্রিক খেত মজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম মিঠু বলেন, বাজারে সরবরাহের সঙ্গে ক্রেতার ভারসাম্য না থাকলে কৃষকরা দাম পায় না। আবার সবজি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হয়। এজন্য জেলায় বিশেষায়িত কোল্ড স্টোরেজ প্রয়োজন।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ পরিচালক মশিদুল হক বলেন, শাকসবজিসহ সব ধরনের পণ্য সংরক্ষণের জন্য আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করে নিয়ছি। খুব দ্রুত এসব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে যাবে।
বগুড়ার শাজাহানপুর, শিবগঞ্জ, শেরপুর, কাহালু ও গাবতলীসহ বিভিন্ন এলাকায় ৪০ প্রকারের বেশি শীতকালীন শাকসবজির চাষ হয়। গড়ে প্রতি টন ৩৮ হাজার টাকা ধরে চলতি মৌসুমে প্রায় ১ হাজার ২০৯ কোটি টাকার বেশি শাকসবজি বেচাকেনা হবে।




