পরিসংখ্যান বলছে, ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর আগ থেকেই অনেকটা নাজুক অর্থনীতির সঙ্গে লড়াই করছিলেন গাজাবাসী। এমনকি মোট বাসিন্দার প্রায় ৮০ শতাংশই নির্ভরশীল ছিলেন আন্তর্জাতিক সহায়তার ওপর। এছাড়া ইসরাইল ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে শ্রম বিক্রি করা রেমিট্যান্সের অর্থ কিছুটা টিকিয়ে রেখেছিলো গাজার অর্থনীতি।
ভূখণ্ডটির অর্থনৈতিক দুরবস্থার মধ্যে নতুন করে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হামাস-ইসরাইল রক্তক্ষয়ী সংঘাত। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার তথ্য বলছে, যুদ্ধের জেরে চাকরি হারাতে হয়েছে গাজার এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মানুষকে। সম্ভবত ইসরাইলের শ্রম বাজারও চিরতরে হারাতে বসেছে গাজা উপত্যকা। এমন পরিস্থিতির মধ্যে ভূখণ্ডটির বেকারত্বের হার গিয়ে ঠেকেছে ১০০ শতাংশের কাছাকাছি।
এ অবস্থায় বিশ্বের সর্বোচ্চ বেকারত্বের হার বয়ে বেড়ানো গাজা উপত্যকার আর্থিক দৈন্যতা আরও ভয়াবহ হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষাগত অবনতির কারণে ১৬ থেকে ১৯ বছর পিছিয়ে যাবে গাজার অগ্রগতি সূচক।
ফিলিস্তিন ইকোনমিক পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তথ্য বলছে, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ৮০'র দশকে গাজার দখল নেয় ইসরাইল। এরপর ২৫ বছর ইসরাইলে কাজের সুযোগ পান অনেক গাজাবাসী। তাদের পাঠানো রেমিট্যান্স ফিলিস্তিনি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
কিন্তু ২০০৬ সালে হামাস গাজার ক্ষমতা লাভের পর বদলাতে শুরু করে অর্থনৈতিক দৃশ্যপট। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বলছে, ২০০৮ সাল থেকে ইসরাইলের সাথে অবরোধ এবং বারবার শুরু হওয়া যুদ্ধ, উপত্যকার অর্থনীতিকে সংকটে ফেলেছে। এমনকি গত ১৫ বছরে পশ্চিম তীরের তুলনায় আশঙ্কজনক হারে কমেছে গাজার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি।