চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে ৮৪ হাজার ৯৪৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৭৬ হাজার ৭৫১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। কর জিডিপির হার বাড়তে যখন প্রয়োজন অতিরিক্ত আয়, তখন ঘাটতি ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি।
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে পুরো নভেম্বর মাসে বিশেষ জোর দেয় এনবিআর। আর এ সময়েই দেশে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা। এ অবস্থায় রাজস্ব আহরণে প্রভাব পড়তে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম। এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রপ্তানি কমলে কমবে শুল্ক আদায়।'
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম
দেশে এখন মোট টিনধারীর সংখ্যা কোটির কাছাকাছি। কিন্তু রিটার্নদাতা এর অর্ধেক। এ সংখ্যা বাড়াতে নভেম্বরজুড়ে চলছে আয়কর সেবা মাস।
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেবা মাস উদ্বোধনে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, 'ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে রাজস্বের বড় একটি অংশ আহরণ হয়। যা আরও বাড়াতে গেলে প্রভাব পড়ে উৎপাদনের ওপর। তাই, ব্যক্তিকরদাতা বাড়াতে জোর দিচ্ছে এনবিআর।'
আগের অর্থবছরগুলোতে নভেম্বরের পর রিটার্ন জমার সুযোগ না থাকায় দেয়া হতো বাড়তি সময়। তবে এবার নতুন আইন অনুযায়ী সে সুযোগ থাকছে না বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান। সেক্ষেত্রে জরিমানাসহ রিটার্ন জমা দিতে হবে।