ঝড়ের আঘাতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত নোয়াখালীর হাতিয়াসহ ৯ উপজেলা। ভেঙে পড়ে ৩৪ ইউনিয়নের ১৭৯টি বিদ্যুতের খুঁটি। শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ৭০ ভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। দ্রুত সংযোগ দিতে মাঠে নামে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। ঝড়ের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার বিস্তীর্ণ ধানখেত। কাটার উপযুক্ত প্রায় ১ লাখ হেক্টরের বেশি জমির পাকা আমনের ফলন নষ্ট হয়। ক্ষতি হয়েছে সবজি খেতও।
খুলনা বিভাগের বাগেরহাট ও সাতক্ষীরার উপকূলীয় উপজেলাসহ বেশকিছু এলাকায় বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে আমনের খেত। পাকা ধান পড়ে যাওয়ায় ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা কৃষকদের। অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম খবরে ৮০ ভাগ পেকে যাওয়া আমন ধান কেটে নেয় খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ৫০ ভাগ কৃষক। তবে, মিধিলির আক্রমণের শিকার হয় ১০ হেক্টর জমির আমন ও ৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি।
আরো পড়ুন:
বরিশালে শনিবার ভোর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিতে নগরীতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। সড়ক ছাপিয়ে বাসাবাড়িতেও ঢুকে পড়ে পানি। শুক্রবার রাত থেকে বিপাকে পড়েন নগরবাসী। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় কর্মজীবী ও পথচারীদের।
এছাড়া, পিরোজপুর, ভোলা, বরগুনা ও পটুয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাকা আমন ও শীতকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ গাছপালা। ঝড়ের কবলে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় মাছধরার ট্রলার। এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অনেক জেলে।





