ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রভাগ আজ দুপুর নাগাদ উপকূলে প্রবেশ করতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আজিজুর রহমান। খেপুপাড়ার নিকট দিয়ে মোংলা-পায়রা এলাকা দিয়ে ঢুকে মধ্যরাত নাগাদ ‘মিধিলা’ উপকূল অতিক্রম করবে। তবে ঝড়টি সাধারণ ঘূর্ণিঝড় হিসেবেই উপকূলে আঘাত হানবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার সকাল ১০.৪০ এর দিকে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' এর বিষয়ে সবশেষ তথ্য জানিয়ে 'এখন টিভিকে' তিনি বলেন, ‘এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে’। আগামীকাল ১৮ তারিখ থেকে সারাদেশে বৃষ্টি কমবে এবং ১৯ তারিখ আবহাওয়া স্বাভাবিক হবে।'
মিধিলি’র কারণে পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত ৯ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় 'ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুর, ফেনী, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।'
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের ঘণ্টায় সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' এর প্রভাবে রাতের বৃষ্টিতে টেকনাফের হ্নীলায় মাটির দেয়াল ধসে একই পরিবারের ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।