পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগের তাগিদ

পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেম বিনিয়োগ
পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেম বিনিয়োগ | ছবি: এখন টিভি
0

পরিবেশগত অবক্ষয় থেকে দেশে প্রতিবছর ৬.৫ বিলিয়ন ডলার অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়। যা বাংলাদেশের বার্ষিক জিডিপির ৩.৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে পরিবেশগত পারফরম্যান্স সূচক এর প্রতিবেদন অনুসারে, ১৮০টি দূষিত দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬২তম।

দেশের জিডিপির লক্ষ্য অর্জনে যে বিনিয়োগ দরকার তার বড় একটি অংশ করতে হবে আগামী পাঁচ বছরে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ হবে সবুজ ও পরিবেশবান্ধব ইকোসিস্টেম বিনিয়োগের।

সবুজ ইকোসিস্টেমে বিনিয়োগের প্রভাব এবং এ বিষয়ে পুঁজিবাজারের ভূমিকা নিয়ে রোববার (১২ নভেম্বর) এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এবং ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড।

অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নে গ্রিন বন্ড ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া গ্রিন কারখানা ও উৎপাদন বাড়াতে নীতিমালা তৈরিতে জোর দেয়ার কথা জানান, বক্তারা।

তবে, শুধু উৎপাদন ও তৈরিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নয়, পরিবেশবান্ধব উৎপাদনে যে খরচ বাড়বে তা গ্রাহক পর্যায়ে যেন প্রভাব না ফেলে, সে বিষয়ে নীতিগত প্রণোদনা কথা জানানো খাত সংশ্লিষ্টরা। তা না হলে সম্মুখীন হবে ব্যবসায়ীরা।

বর্তমানে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থায়নে বিভিন্ন ধরনের বন্ড ইস্যু করা হচ্ছে। এতে এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে বিনিয়োগের চাহিদা পূরণে ব্যাংকিং খাতের উপর চাপ কমবে বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম।

বিএসইসি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এসডিজি লক্ষ্য পূরণের অংশ হিসেবে আগামী দিনে কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের সঙ্গে ইকোসিস্টেম পালনের বিষয়েও নিরীক্ষা করা হবে।

তবে, একদিনেই পরিবেশবান্ধব বিনিয়োগ সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে এ নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএর পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন।

এসডিজি লক্ষ্য অর্জন ছাড়াও পরবর্তী প্রজন্ম ও জলবায়ু পরিবর্তনে পরিবেশ বান্ধব বিনিয়োগের গুরুত্ব অনেক। এতে পরিবেশ যেমন রক্ষা পাবে, তেমনি সুস্থ থাকবে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্ম।

সেজু