দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সামগ্রিক প্রস্তুতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, ভোটের পরিবেশ আর তফসিলের পরিকল্পনা। সবমিলিয়ে দাপ্তরিক ও মাঠের কাজের সকল ফর্দ নিয়ে বেলা ঠিক ১১টা ৫০ মিনিটে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে বঙ্গভবনে প্রবেশ করে ইসির গাড়িবহর। বেলা ১২টা শুরু হয় ভোটের আগে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই রাষ্ট্রীয় বৈঠক।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি রাষ্ট্রপতির কাছে তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। জানান, ভোটের পরিবেশ নিয়ে রাজনৈতিক মেরুকরণের কথা। দুপুর পৌনে ১ টায় বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সিইসি।
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন সিইসি
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রেখে যথাসময়ে নির্বাচনের আয়োজন করতে ইসি বদ্ধ পরিকর। আরো বলেন, 'আমাদের ওপর সাংবিধানিক যে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে এবং সেখানে যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে বদ্ধপরিকর। বেধে দেওয়া সময়সীমার আগেই এটি করতে হবে।'
তবে তফসিল কিংবা ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ নিয়ে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনা হয়নি বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। বলেন, 'আমরা জানিয়েছি, এখনো পুরোপুরি সিদ্ধান্ত নেই নি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মতবিনিময় করে গেলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচী নির্ধারণ করবো।'
সাংবাদিকদের তিনি আরো বলেন, 'দ্রুত আমরা তফসিল ঘোষণা করবো। কারণ সময় হয়ে গেছে।'
অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে কোনো পরামর্শ কিংবা কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়েই বঙ্গভবন চত্বর ত্যাগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।