বশির আহমেদ, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের আইরমারা গ্রামের কৃষক। গত বছর ১২ বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করে লাভবান হন তিনি। এ বছর ২০ বিঘা জমিতে আগাম শীতকালীন ফুলকপির আবাদ ও বিক্রি করে ভালো দাম পেলেও বর্তমানে চালান উঠাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি।
কৃষক বশির আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে প্রতি পিস ৫ টাকা চলছে, কিন্তু আমাদের ১৫ টাকা খরচ রয়েছে। এ কারণে আমাদের লোকসান হচ্ছে।’
শুধু বশির আহমেদ নন, উপজেলার চামারখাই, হরগজ, জান্না, বাঙ্গালা ও পাড় তিল্লীসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় পাঁচ শতাধিক কৃষকের একই অবস্থা।
এ মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জমিতে হোয়াইট স্টোন, স্নো বল, মুন লাইট ও নিনজা জাতের ফুল কপির আবাদ হয়েছে। প্রতি বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ হয় প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। অথচ, এখন প্রতি বিঘার ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায়। এতে করে লোকসানের শঙ্কায় কৃষকরা।
বাজারে ফুলকপির দাম কমার কথা শিকার করে কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জানান কৃষকদের ফুলকপি বিক্রিতে সহায়তায় নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা।
মানিকগঞ্জ জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. মোরশেদ আল মাহমুদ বলেন, ‘এ সমস্যার থেকে উত্তরণের জন্য তাদের উৎপাদিত ফুলকপি আমরা স্থানীয়ভাবে বিক্রি করার ব্যবস্থা নেব। এছাড়া মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে ফুলকপি পাঠানোর ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ার ব্যবস্থা করব।’
মানিকগঞ্জ সাটুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিকভাবে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসছে কোন জাতের সবজি চাষ করলে আগাম বাজার ধরা যাবে, বেশি ফলন পাওয়া যাবে, ভালো দাম এবং উৎপাদন খরচ কমবে।’
ফুলকপি চাষে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত না হলে কৃষকদের এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। সেই সাথে বাজার ব্যবস্থাপনায় আরও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান কৃষকদের।