এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুল হাসান সোহাগ। সিংগাইর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিংগাইরের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক নির্মল দাস। সভাটি সঞ্চালনা করেন গ্রিন ইভোলুশন প্রোগ্রামের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মো. হারুনুর রশীদ।
প্রকল্প সম্পর্কে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক নির্মল দাস বলেন, ‘এটি চার বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প। যার সুবিধাভোগী সিংগাইরের চার ইউনিয়নের ২৫০০ কৃষক। যাদের আমরা নিরাপদ উপায়ে সবজি চাষের সব ধরনের প্রশিক্ষণ এবং কারিগরি সহায়তা দেবো। প্রকল্পটিতে আর্থিক সহযোগিতা করছে জার্মানির সংস্থা ওয়েল্ট হাঙ্গার হিলফে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিংগাইর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান সোহাগ বলেন, ‘ওয়েভ ফাউন্ডেশন গ্রিন ইভোলুশন প্রোগ্রামের জন্য সিংগাইরের ৪টি ইউনিয়ন নির্বাচন করেছে, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত। তবে আমার পরামর্শ থাকবে প্রকল্পে সুবিধাভোগীরা যেন প্রকৃত কৃষকই হন। এছাড়া প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে উপজেলা প্রশাসনকে নিয়মিত অবহিত করবেন।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, ‘নিরাপদ উপায়ে কৃষি পণ্য উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যা এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়ন করা হবে। কৃষি পণ্য উৎপাদনের পাশাপাশি বাজারজাতকরণের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় কৃষি অফিস আপনাদের পাশে থাকবে।’
সভায় সিংগাইরের জয়মন্টপ, বায়রা, ধল্লা, শায়েস্তা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য এবং কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন।