গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

হঠাৎ বৃষ্টিতে পাকা ধানে মই

গেল সপ্তাহ জুড়ে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে শুরু হয় ধানকাটা। প্রচণ্ড রোদের মধ্যেই সোনালি ধান ঘরে তোলায় বাড়ে কৃষকের ব্যস্ততা। তবে গেল রাতের হঠাৎ বৃষ্টি পাকা ধানে যেন মই দিয়েছে।

হঠাৎ বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় কোথাও কোথাও নুয়ে পড়েছে ধান। আবার কাটা ধান ঘরে তোলার আগেই ভিজে নষ্ট হচ্ছে ফলন। এতে কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ। মাঠভরা সোনালি ধানের স্বপ্ন হয়েছে বিবর্ণ। পরবর্তী দুর্যোগের আগেই পাকা ধান ঘরে তোলার তোড়জোড় কৃষকের।

কৃষক বলেন, তাড়াতাড়ি করে আমরা ধান কাটতেছি, নয়তো সব ধান নষ্ট হয়ে যাবে। সবাই খুব দ্রুত ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করতেছে। এর মধ্যেই অনেক ফসল পানির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। শক্ত গাছের ধান এখনো পড়ে নাই। আর নরম গাছের ধান পড়ে গেছে।

মঙ্গলবার (৭ মে) শেষ রাতে রাজশাহীতে ৫১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এতে ধানখেতে পানি জমে যায়। ভ্যাপসা গরমে নষ্ট হচ্ছে ফসল। বিঘায় নষ্ট হবে ৩ থেকে ৪ মণ। ফলন বাঁচাতে পানি নিষ্কাশনেও বাড়ছে মজুরি ব্যয়।

কৃষি বিভাগ বলছে, এখন পর্যন্ত মাঠের মাত্র ১৫ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে। এতে বিপাকে বরেন্দ্র অঞ্চলের চাষিরা। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে ৭০ হাজার ২০০ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদ হয়। এতে ৫ লাখ ১৯ হাজার ১০৫ টন ধান থেকে ৩ লাখ ৬৪ হাজার ৭০ চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিকে চলমান আবহাওয়া বাস্তবতায় কুমিল্লায় বেড়েছে পাকা ধান ঘরে তোলার ধুম। মাঠে মাঠে বেড়েছে কৃষকের ব্যস্ততা। ঝড়-বৃষ্টির দুর্যোগ থেকে সোনালি ফসল রক্ষায় অনেকে আধাপাকা ধানও কেটে নিচ্ছেন।

জেলা কৃষি বিভাগ বলছে, এরই মধ্যে মাঠের প্রায় ৪২ ভাগ ধান কেটে নিয়েছে কৃষক। কুমিল্লায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকায় হেক্টরপ্রতি ৪ টন ধানের ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।