কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৪ হাজার ৪০০টির বেশি কম্বাইন হারভেস্টার দিয়ে ধান কাটা চলেছে। এর সঙ্গে এবার নতুন করে আরও ১০০টি কম্বাইন হারভেস্টার বরাদ্দ করা হয়েছে। সারাদেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ শতাংশ বোরো ধান কাটা হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, সরকার হাওরের ফসলকে ঝুঁকিমুক্ত করতে বহুমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে। কৃষকের ঘরে পাকা ধান যাতে দ্রুত তোলা যায়, সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার দিয়ে যাচ্ছে।
সারা বছরের মোট চাল উৎপাদনের অর্ধেকের বেশি যোগান দেয় বোরো ধান। এ বছর বোরোর আবাদ ও ফলন বাড়াতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। বোরোর আবাদ বাড়াতে ২১৫ কোটি টাকার বীজ, সার প্রভৃতি কৃষকদেরকে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরে বোরো ধান কাটা উৎসবে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশের বোরো ধান সফলভাবে ঘরে তুলতে পারলে দেশে খাদ্য নিয়ে তেমন কোন ঝুঁকি থাকবে না।’
চলতি বছর সারাদেশে ৫০ লাখ ৫৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর বেশি। আর চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ টন।