গ্রামীণ কৃষি
কৃষি

ফরিদপুরের দুর্গম চরে ফসলের হাতছানি

যে চরে কিছু দিন আগেও ফসল ফলানোর কথা ভাবা যেতো না, সেই চরের ফসলে এখন ভাগ্য পরিবর্তন করছেন চাষীরা। ফরিদপুরে এক যুগের বেশি সময় প্রমত্তা পদ্মার জেগে উঠা চরে হতো না কোনো ফসল। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত সেই অনাবাদি জমিতে ফলতে শুরু করেছে ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল।

ফরিদপুর সদর উপজেলার পদ্মা নদীবেষ্টিত ডিক্রির চর, নর্থচ্যানেল ও চরমাধবদিয়া ইউনিয়ন। যেখানে একসময় ছিলো ধু ধু বালুচর। এখন সেই চর সবুজে বিস্তৃত। সকাল হলেই ফসলের মাঠে ব্যস্ততা বাড়ে কৃষকের। মাঠের পর মাঠ জুড়ে চাষ হচ্ছে ভুট্টার।

এতে পদ্মার চরে চাষীদের জীবনে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব ফসল পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

একজন ভুট্টাচাষী বলেন, 'আগে এখানে ফসল হতো না। এখন বর্তমানে খুব ভালো ফসল হচ্ছে। আগে মানুষ খুব কষ্ট করছে। এখন বছরে তিনটা ফসল ফলানো যায়।'

চলতি বছর চরাঞ্চলের ৩ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টা আবাদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে কৃষি বিভাগ। তবে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। যা থেকে উৎপাদন হবে ৬২ হাজার ৫০০ টন ভুট্টা। এতে বাণিজ্য হবে ২৫ কোটি টাকার।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম বলেন, 'এ জমিগুলো আগে পতিত হয়ে থাত। এখানে অন্য কোনো ফসল হতো না। সেখানে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে ভুট্টা আবাদ করাচ্ছি। যেহেতু ভুট্টা সারাবছরই আবাদ করা যায়। এটা মৌসুম রিলেটেড ফসল না।'

চরাঞ্চলের এই জমিতে ভুট্টা ছাড়াও মাসকালাই, সরিষা ও বাদাম উৎপাদন হয়।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর