চলতি মৌসুমে ৫০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করেছেন সদর উপজেলার কৃষক শুক্কুর গাজী। বীজ ও শ্রমিকের মজুরি মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এবার ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা লাভের আশা করছেন তিনি।
শুক্কুর গাজী বলেন, '৫০ শতাংশ জমিতে আমার ১৫০ বস্তা আলু হইছে। ৬০ হাজার টাকা খরচ হইলেও লাভ হইবে প্রায় ৭০-৮০ হাজার টাকা।'
মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক দেরিতে চাষাবাদ করেছেন। তাই ফলন কিছুটা কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে দাম ভালো পাওয়ায় সেই লোকসান পোষানো যাবে বলছেন চাষিরা। বর্তমানে জমি থেকে প্রতি মণ আলু বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকায়।
চলতি বছর জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর। তবে আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদন হবে প্রায় ১ লাখ ৭৮ হাজার টন।
গেল কয়েক বছর লোকসান হওয়ায় এ বছর আবাদ কম হয়েছে বলে জানান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. সাফায়েত আহম্মদ সিদ্দিকী। বলেন, 'গতবছর কৃষকরা কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় আলু থেকে বিমুখ হয়েছিলো। কিন্তু এবার তারা ভালো দাম পাচ্ছে। এভাবে মাঠ পর্যায়ে ভালো দাম পেলে চাষিরা আবার আলু আবাদে ফেরত আসবে।'
চাঁদপুরে সদর, কচুয়া এবং মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলায় ডায়মন্ড, মুল্টা ও কার্ডিয়াল জাতের আলু সব থেকে বেশি চাষ হয়।