দেশে এখন , গ্রামীণ কৃষি
কৃষি
0

ফেনীতে প্রবাসী-যুবকরা ঝুঁকছেন সবজি চাষে

কৃষিতে প্রযুক্তির প্রসার ও ভালো মানের বীজ ব্যবহারে ফেনীতে বাড়ছে সবজির আবাদ। ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় চাষাবাদের সাথে যুক্ত হচ্ছেন প্রবাস ফেরত, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

ফেনীর ফুলগাজীর বাসিন্দা আবু তাহের বাহার। দীর্ঘ ৩০ বছর বিদেশে কাটিয়ে বাড়িতে এসে অবসরের সময়টুকু ফসলের মাঠে কাটাচ্ছেন। নিজের দশ একর জমির মধ্যে পাঁচ একরে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, গোল আলু, কাঁচামরিচ, বেগুনসহ নানা পদের সবজি চাষাবাদ করেছেন। নিজের এলাকার আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়েছেন। এতে প্রতিমাসে অর্ধ লাখের বেশি টাকা আয় করছেন।

তিনি বলেন, 'ফুলকপি, বাঁধাকপিসহ শাক সবজি চাষ করতেছি। আমার সাথে দুজন লোকও আছে। আমি এতে লাভবান।'

একই উপজেলার আবুল খায়ের ভূঞাঁ মিন্টু একসময় ঠিকাদারি করলেও এখন তিনি কৃষক। চলতি শীত মৌসুমে ১২ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। তেলের জন্য ৬ শতক জমিতে সরিষা লাগিয়েছেন। গত কয়েক বছর আরবের ফল শাম্মামসহ হলুদ তরমুজ চাষেও সফল কৃষক ছিলেন।

কৃষক আবুল খায়ের মিন্টু বলেন, 'আমি উদয়ন প্লাস জাতের টমেটো চাষ করসি। বর্তমানে আমি কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি করতেছি। এই দাম থাকলে লক্ষাধিক টাকার উপরে বিক্রি হইবে।'

সবজির আবাদের এসব প্রকল্পে সাধারণ শ্রমিকেরও কাজ মিলছে। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে শ্রমিকরা কাজ করছেন। দৈনিক আয় দৈনিক ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা।

সূত্র কৃষি বিভাগ

কৃষি বিভাগ বলছে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ও ভালো বীজ সরবারহ হওয়ায় সবজির আবাদ বাড়ছে। ভালো ফলনে চাষিদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

দরবারপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনোজ কান্তি দেব বলেন, 'আমরা কৃষকদরকে সরকারিভাবে বীজ এবং সার সহায়তা দিয়ে থাকছি। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ চাষিদেরকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা দেওয়ার চেষ্টা করছে।'

ফুলগাজী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোরশেদ আলম বলেন, 'বিভিন্ন কোম্পানির ভালো বীজ ব্যবহারের জন্য কৃষকদেরকে পরামর্শ দিচ্ছি। যাতে কৃষক কম খরচে অধিক লাভবান হতে পারবে।'

জেলায় এবার সবজির আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ২৪২ হেক্টর জমিতে। যেখানে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৪০ হাজার টন সবজি।