সবুজ পানের পাতা নিমিষেই বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। পচন ধরছে গোড়ায়, পাতা শুকিয়ে মাটিতে ঝরে পড়ছে।
পান চাষিরা বলেন, 'একবিঘা জমিতে তিন লাখ টাকা খরচ হয়। এখন পানের রং নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, পুড়ে যাচ্ছে।'
শীতের রোগ বালাই থেকে পানের বরজ বাঁচাতে বিভিন্ন ধরনের স্প্রে দেয়া হচ্ছে। তাতেও কোন প্রতিকার মিলছে না। বরং বেশি বেশি স্প্রে করায় খরচ বাড়ছে। আর কৃষকদের লোকসানের অংক গুণতে হচ্ছে। বাজারে হলদ হয়ে যাওয়া ও ঝরে পড়া এসব পানের তেমন দাম পাওয়া যায় না।
পান চাষিরা আরও বলেন, 'এক বস্তা টিএসপি সার কিনতাম ১ হাজার টাকা আর এখন ১৮০০ টাকা নেয়। যাদের টাকা পয়সা আছে তারা খৈল ব্যবহার করে, কীটনাশক কম দেয়। তাদের লোকসান কম হয়।'
পানের বরজে ক্ষতির সম্মুখীন হলেও কৃষি বিভাগের পরামর্শ পায়নি বলে অভিযোগ চাষিদের।
অন্যদিকে বৈরি আবহাওয়া মোকাবিলায় পানচাষিদের নানাভাবে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। বলেন, 'কুয়াশার মধ্যে যেন পানের উৎপাদন ঠিক থাকে এবং রোগগ্রস্ত না হয় এজন্য আমরা চাষিদেরকে ছত্রাক নাশক স্প্রে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকি।'
এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় পানের চাষ হয়েছে ১৩০২ হেক্টর জমিতে।