নওগাঁয় জমি প্রস্তুত আর চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। জিরাশাইল, ব্রিআর-২৮, সুবর্ণলতাসহ চাষ করা হচ্ছে হাইব্রিড জাতের ধান।
নওগাঁ সদর উপজেলার দিঘলীর একজন কৃষক মোকাদ্দেস মকুল। প্রতি বিঘা জমিতে ধান রোপণে তার খরচ অন্তত ১৫ হাজার টাকা। যা গত তিন বছর আগে ছিল ১১ হাজার টাকা। কৃষি উপকরণ, সার, কীটনাশক, সেচ ও শ্রমিকের দাম বেড়ে যাওয়ায় খরচ বেড়েছে ফসল উৎপাদনে।
ছবিতে নওগাঁ জেলার দিঘলীর কৃষক মোকাদ্দেস মকুল। ছবি: এখন টিভি।
কৃষক মোকাদ্দেস মকুল বলেন, 'ফসল করে আমাদের পোষাচ্ছে না। সার, কীটনাশক, মজুরি সবকিছুরই দাম বেশি হয়েছে। কিন্তু সেভাবে আমরা ফসলের দাম পাই না।'
ঠান্ডা আর কুয়াশায় বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে শ্রমিক ও চাষীদের। কঠিন পরিশ্রম, ধার-দেনা আর সারের দোকানের বকেয়ায় ফসল উৎপাদন করছেন অনেক কৃষক। এছাড়া জমি বর্গা ও ইজারা চাষীদের খরচের অংকটা হয় আরও বেশি। তারা বলছেন, খরচ পুষিয়ে লাভের মুখ দেখতে এ বছর ফসল বিক্রি করতে হবে অন্তত ১ হাজার ৪০০ টাকা মণ।
একজন কৃষক বলেন, 'ওষুধ, সার, কীটনাশক দোকান থেকে বাকি নিয়ে আসি। ধান বিক্রি করলে আমরা ১ হাজার বা ১ হাজার ১০০ টাকা মন পেয়ে থাকি। তাতে আমরা একটুও লাভ করতে পারি না। ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাম পেলে আমাদের জন্য অনেক উপকার হতো।'
কৃষি বিভাগ বলছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৮৮ হাজার কৃষককে সার ও বীজের প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বোরো বীজতলা তৈরিসহ ফসল আবাদে দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।
নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'এবছর বোরো ধানে একটা ভালো ফলন পাবো বলে আমরা আশা করি। বোরো চাষে কৃষকদের যেকোন সমস্যা সমাধানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকের পাশে থেকে প্রয়োজনীয় সকল পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।'
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, নওগাঁ জেলায় এ বছর ১ লাখ ৯১ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। যা থেকে উৎপাদনের আশা প্রায় ১২ লাখ ৮৫ হাজার ২১৫ টন ধান।





