অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরুন্ডী কৃষক বীজ ব্যাংকের সভাপতি বৈদ্যনাথ সরকার এবং সঞ্চালনা করেন বারসিক কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন সাহা। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহজাহান সিরাজ। তিনি প্রথমে কৃষকদের আমন ধানের গবেষণা প্লট ঘুরে দেখেন। পরে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান, গোঁসাই ধানের উদ্ভাবক কৃষক গবেষক গোসাই দাস রায়, বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায়, কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান, শিমুল কুমার বিশ্বাস ও নজরুল ইসলাম। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বরুন্ডী বীজ ব্যাংকের অর্ধশতাধিক সদস্য অংশ নেন।
আরও পড়ুন:
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, ‘বরুন্ডী গ্রামের কৃষকদের বীজ সংরক্ষণ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়াই তারা যেভাবে ধান ও সবজি উৎপাদন করছেন, তা স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমাচ্ছে এবং উৎপাদন ব্যয়ও হ্রাস করছে। বীজ ব্যাংকের ফলে কৃষকরা আর বাজার নির্ভর নন, নিজেদের উৎস থেকেই মানসম্মত বীজ সংগ্রহ করতে পারছেন’।
সভায় কৃষকরা জানায়, বীজ ব্যাংক তাদের কৃষি উৎপাদনে নতুন প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে। বীজের মান ভালো হওয়ায় রোগবালাই কমে, ফলনও ভালো হয়। তারা এখন বিষমুক্ত নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন করতে পারছেন এবং পরিবারের সদস্যরাও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে অনেকটাই সুরক্ষিত।
বর্তমানে তাদের বীজ ব্যাংকে সংরক্ষিত রয়েছে ৮২ প্রজাতির আমন ধান, ৬০ প্রজাতির বোরো ধান এবং ৪০ থেকে ৪৫ ধরনের সবজি, ডাল ও মসলার বীজ। কৃষকরা ব্যাংক থেকে বিনামূল্যে বীজ নেন এবং ফসল শেষে বেশি পরিমাণ বীজ জমা রাখেন। প্রতি মাসে ৫০ জন কৃষক ও ৫০ জন কৃষাণী নিয়মিত বৈঠকে অংশ নিয়ে বীজ সংরক্ষণ ও নিরাপদ খাদ্যের প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।





