কৃষি

বছরে অন্তত ৩০ কোটি টাকার চাইনিজ সবজি বিক্রি

উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি করতে পারায় সাভারে চাইনিজ সবজি চাষে তরুণ উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বাড়ছে। এখানকার শত শত বিঘা জমিতে বছরজুড়ে চাষ হচ্ছে চাইনিজ সবজি। ফলে, কয়েকটি গ্রাম এখন পরিচিত হয়ে উঠেছে চায়না গ্রাম নামেই। এখানকার উৎপাদিত সবজি রাজধানীর সুপারশপসহ রপ্তানি হচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অংকের হিসেবে বছরে এর বাজার মূল্য অন্তত ৩০ কোটি টাকা।

ব্রকলি, রেড ক্যাবেজ, ক্যাপসিক্যাম, লেটুস, স্যালারি, থাই জিনজার, পার্সলে, বিটরুট, সুইটকর্ন, বেবিকর্নসহ অন্তত ২৬ প্রজাতির রঙ-বেরঙের সবজি চাষ হচ্ছে সাভারের তেঁতুলঝোড়া ও ভাকুর্তা এলাকার জমিতে। চায়না সবজি নামে পরিচিত এই সবজিগুলোর চাহিদা দিনদিন বাড়ায় বাণিজ্যিকভাবে চাষের আগ্রহ দেখা যাচ্ছে তরুণ উদ্যোক্তাদের মধ্যে।

এই সবজির সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে সব মৌসুমে চাষের উপযোগী। বতর্মানে সাভার অঞ্চলের অন্তত ৮০ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে আকর্ষণীয় এইসব সবজি। উৎপাদিত সবজি চলে যায় রাজধানীর সুপারশপ থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। রপ্তানির বাজার বাড়ানো গেলে বছরে কয়েক কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় সম্ভব বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা। নিশ্চিত হবে স্থানীয় কৃষি শ্রমিকদের কর্মসংস্থানও।

সাভারের কৃষি উদ্যোক্তা কোব্বাদ হোসাইন অভি বলেন, 'সীমিত আকারে সবজিগুলো রপ্তানি করছি। আমার মনে হয় আরও বেশি পরিমাণে সবজি রপ্তানি করা যেত এবং আয়ের পরিমাণ প্রায় ২ থেকে ৩ কোটি টাকার মতো পেতাম আমরা।'

সম্ভাবনাময় এই খাতটির প্রসারে সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত আছে বলে জানান উপজেলার অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মোছা. ঈশরাত জাহান। উদ্যোক্তাদের পরামর্শসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানির ক্ষেত্রেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। বলেন, 'অল্প বিনিয়োগে বেশি লাভ করা সম্ভব যেখানে বিঘাপ্রতি ৩২ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এখান থেকে ৬২ হাজার টাকার মতো বিক্রি হয় এবং লাভ থাকে বিঘাপ্রতি ৩২ থেকে ৩০ হাজার টাকার মতো।'

সাধারণত বিঘাপ্রতি চায়না সবজি আবাদে খরচ হয় ৩০ হাজার টাকার মতো। উৎপাদিত সবজি বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৫ হাজার টাকায়। সাভারের প্রায় ৮০ হেক্টর জমির উৎপাদিত চায়নিজ সবজির বাজারমূল্য বছরে অন্তত ৩০ কোটি টাকা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর