কৃষি , গ্রামীণ কৃষি
এখন জনপদে
0

সাতক্ষীরার মাছের ঘেরে বাড়ছে বোরো ধানের আবাদ

ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছরই সাতক্ষীরার বিভিন্ন মাছের ঘেরে বোরো ধানের আবাদ বাড়ছে। ডিসেম্বরে মাছ ধরার পর ঘেরের পানি শুকিয়ে ধান আবাদ করেন কৃষকরা। চলতি বোরো আবাদ মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলায় চারার উৎপাদন ভালো হয়েছে। মৌসুমের বাকি সময় সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবার রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের আশা কৃষক ও কৃষি বিভাগের।

সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকার ঘের থেকে মাছ ধরার পর পানি শুকিয়ে বোরা ধানের আবাদ করছেন কৃষকরা। গেল প্রায় দেড় দশক মিঠাপানি ও সল্প লবণাক্ত পানির মাছের ঘেরে ধানের আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন তারা। একই সাথে উৎপাদন হচ্ছে বাড়তি ধান। বিশেষ করে জলাবদ্ধ এলাকায় দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে এই চাষ পদ্ধতি।

তীব্র শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে জমি চাষ ও চারা রোপনে ব্যস্ত কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বীজতলায় চারা উৎপাদনও ভালো হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এবার ধানের ভালো ফলনের আশা কৃষকদের।

মাছের ঘেরে ধানের ফলন হয় প্রায় দ্বিগুণ। বাড়তি কোন চাষের প্রয়োজন হয় না। সার ও সেচ খরচও অনেক কম। বর্তমানে মাছের চেয়ে ধানের দাম বেশি হওয়ায় ধান আবাদে ভালো লাভবান হচ্ছে কৃষকরা। এছাড়া মাছের পাশাপাশি বর্ষা মৌসুমে ঘেরের পাড়ে সবজির আবাদ করছেন তারা।

কৃষি বিভাগ বলছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার পাশাপাশি রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন হবে।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় মে মাস পর্যন্ত এসব ঘেরে আর পানি দেয়া যায় না এবং পানি থাকে না। এই ঘেরগুলো আমরা আমাদের প্রযুক্তি দিয়ে সাজিয়ে সেগুলোকে আমরা চাষের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছি। শুধু মিঠা পানি থাকলে আরো ঘেরকে আমরা ধান চাষের আওতায় আনতে পারব।’

সাতক্ষীরায় আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩৩৯ হেক্টর। চলতি মৌসুমে ৭৯ হাজার ৮শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের সম্ভাবনা। যার মধ্যে মাছের ঘেরে বোরো ধানের চাষ হবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে।

এএম