শেরপুরে বলাইয়েরচর গ্রামের কৃষক কমেদ আলী। গেল বছর ২ বিঘা জমিতে চাষ করেন জাপানি জাতের মিষ্টি আলু কোকেই-১৪। ফলন ভালো হওয়ায় অন্তত ৬০ হাজার টাকার আলু বিক্রি করেন। এবার তিন বিঘায় চাষ করে লাখ টাকার আলু বিক্রির আশা তার।
বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা। সমস্ত খরচ বাদ দিয়ে বিঘায় লাভ হয় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। অল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় জেলার অন্যান্য কৃষকরাও আগ্রহী হচ্ছেন আলু চাষে।
স্থানীয় মিষ্টি আলু চাষি বলেন, ‘গত বছর আলু বিক্রি করেছি ৬০ হাজার টাকায়। এবার আশা আছে তিন বিঘা ১ লাখ টাকার উপরে আলু বিক্রি হবে।’
আরেকজন বলেন, ‘কৃষি বিভাগ থেকে আমাদের সুযোগ সুবিধা দিয়েছে। আলু বীজ দিয়েছে আমাদের।’
নারুতো জাপান প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জানান, শেরপুর সদরের ৪৩ কৃষককে বিনামূল্যে মিষ্টি আলুর লতা ও রাসায়নিক সার প্রদান করা হয়েছে। যাতে কৃষকরা বেশি পরিমাণে আলু চাষ করতে পারে।
নারুতো জাপান কোম্পানি লিমিটেডের ফিল্ড সুপারভাইজার মো. জাকারিয়া বলেন, ‘এবছর ৩০ একর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আমরা কৃষকদের বিনামূল্যে মিষ্টি আলুর লতা ও রাসায়নিক সার প্রদান করেছি।’
নতুন জাতের আলু চাষে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা। শুধু দেশেই নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে মিষ্টি আলুর।
শেরপুর সদরের কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে কৃষকদের প্রজেক্ট আকার ৩০ একর জমিতে জাপানের একটি কোম্পানি আলু চাষে সহযোগিতা করছে। পাশাপাশি কৃষি বিভাগ থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’