জামালপুরের বকশিগঞ্জের কামরুজ্জামান সবদার। তিন বছর আগে গাজিপুরের টেক্সটাইল কোম্পানির চাকরি ছেড়ে শুরু করেন কমলা চাষ। পরীক্ষামূলকভাবে রোপণ করেন ৩ জাতের কমলার চারা। সেখান থেকে এখন ১০ শতাংশ জমিতে গড়ে তুলেছেন বাগান। ফল ও চারা বিক্রি করে বছরে তার আয় ৪-৫ লাখ টাকা।
কামরুজ্জামান জানান, বছরে বাগান থেকে প্রায় ৫০ মণ কমলা বিক্রি করেন তিনি। আর প্রতি মণ বিক্রি হয় ১২ হাজার টাকায়। এছাড়া প্রতি পিস চারা বিক্রি করেন ২শ' টাকায়। আগামীতে আরও ১ একর জমিতে কমলার চারা রোপণের পরিকল্পনার কথা জানান এই কৃষি উদ্যোক্তা।
স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসেন কামরুজ্জামানের বাগানের। কেউ কেউ আবার বাগান থেকেই ৩শ' টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে যান টাটকা কমলা। তার থেকে চারা কিনে অনেকেই গড়ে তুলছেন বাগান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, পাহাড়ি অঞ্চল হওয়ায় সাইট্রাস জাতীয় ফল চাষের জন্য এ উপজেলার মাটি ও পরিবেশ খুবই উপযোগী। কামরুজ্জামানের মতো অন্যান্য চাষিদের কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।
জামালপুর বকশীগঞ্জ উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাণিজ্যিক আকারে শুরু করে তাহলে অনেকে উৎসাহ পাবে। যেহেতু আমাদের বাহিরে থেকে প্রচুর কমলা আমদানি করতে হয়। সেজন্য দেশীয় চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের পাহাড়ি এলাকাগুলো যদি সাইট্রাস চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ যায়, তাহলে দেশের অর্থনীতিতেও বড় একটা অবদান রাখা যাবে বলে আমি মনে করি।’
দেশের মাটিতে কমলা চাষে একদিকে কমবে ফলের দাম অন্যদিকে সম্ভব হবে চাহিদা মেটানো, এমনটাই মনে করে চাষিরা। তাই সরকারি সহায়তা পেলে অনেকেই কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।