বালিয়ারি পেরিয়ে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ভ্রমনপিপাসুদের উপচে পড়া ভিড়। সমুদ্র স্নান, সৈকতের বালুতে ছোটাছুটি আর বাধভাঙা উচ্ছ্বাস সাগরতীরে। সৈকতের ছাতায় বসে অনেকে অবার উপভোগ করছেন সাগরের বিশালতা।
কক্সবাজার লাবনী থেকে শুরু করে কলাতলী পয়েন্টের সবগুলোই এখন পর্যটকে মুখরিত। উত্তাল সাগরে ঢেউ উপেক্ষা করে গোসলে নেমেছেন শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই। প্রকৃতির অনিন্দ সৌন্দর্যের মুহূর্ত বন্দি করছেন ক্যামেরার ফ্রেমে। জেডেস্কি যোগে নীল জলরাশি ঘুরে দেখেন পর্যটকরা। কেউ আবার চড়েছেন ঘোড়ার পিঠে। তাই সৈকতে ব্যস্ততা বেড়েছে জেডেস্কি চালক ও ফটোগ্রাফারদের। এছাড়া জমে উঠেছে হোটেল, রেস্তোরা, শুঁটকির দোকানসহ গোটা পর্যটন খাত। বুকিং হয়েছে ৫০ শতাংশর বেশি হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্ট হাউস।
একজন পর্যটক বলেন, 'আমাদের বিচটা এতো সুন্দর, আমি দেখে পাগল হয়ে গেছি। সমুদ্র যে মানুষকে এতো টানে তা সামনাসমনি না আসলে বোঝা যায় না।'
ছুটির দিনে আনন্দে ভাসছে সমুদ্র কন্যা কুয়াকাটাও। সূর্যদয়-সূর্যাস্ত, সমুদ্রের ঢেউ, সবুজ বনানী আর লাল কাঁকড়ার বিচরণ দেখতে পর্যটকদের অবিরাম ছুটে চলা সেখানে। কিছুটা মন্দার পর ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য। বুকিং হয়ে গেছে দেড় শতাধিক হোটেল-মোটেলের প্রায় ৮০ শতাংশ রুম।
একজন পর্যটক বলেন, 'সবমিলিয়ে অসাধারণ মুহুর্ত পার করছি। পরিবার সাথে নিয়ে এসে এতো সুন্দর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করছি, ভালো লাগছে।'
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গেল দেড় মাসের বেশি সময় ধরে তেমন পর্যটন না থাকলেও সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে কক্সবাজারে ও কুয়াকাটা মিলিয়ে এই খাতে বাণিজ্য হবে প্রায় ১০০ কোটি টাকার।