এ সড়কের পাশে গড়ে ওঠা ছয়টি পর্যটন স্পটে যেতে জিপ, সিএনজি অটোরিকশা ও ইজিবাইকে চড়তে দর্শনার্থীদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। এতে চলার পথের আশপাশের দৃশ্য দেখতেও বেশ কষ্ট হয়।
দীর্ঘদিন ধরে তাই দাবি ছিল ছাদখোলা কোন পরিবহনের। আর তাই চাহিদার তুলনায় কম হলেও বিআরটিসি চালু করেছে তিনটি দ্বিতল বাস। বুধবার সকালে উদ্বোধনী যাত্রার সঙ্গী হন পর্যটকরা।
পর্যটকরা বলেন, 'সরকারের এটি খুব ভালো উদ্যোগ। পর্যটকরা অনেক উপকৃত হবে। সবাই তো আর খোলা জিপ ভাড়া নিতে পারে না। এখন পাহাড় আর সমুদ্রের সৌন্দর্য একসঙ্গে উপভোগ করা যাবে।'
ছাদখোলা অংশে প্রতি সিটের ভাড়া ৭০০ এবং নিচতলার জন্য ভাড়া ৬০০ টাকা। যাত্রাপথে ছয়টি পর্যটন স্পটে বাস থামবে ২০ থেকে ৪৫ মিনিট। প্রায় ৯ ঘণ্টার ভ্রমণপথের পাটুয়ারটেক দুপুরের খাবার খাওয়ার সুযোগ পাবেন যাত্রীরা। যারা এ সুযোগ নেবেন তাদের গুনতে হবে বাড়তি আরো ২০০ টাকা।
ছাদখোলা বাসে সমুদ্র আর পাহাড়ের সৌন্দর্য একত্রে উপভোগ করছেন পর্যটকরা
এ সেবা কক্সবাজার যেতে পর্যটকদের আগ্রহ আরো বাড়াবে বলে মনে করছে জেলা প্রশাসন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন বলেন, 'আমরা আশা করছি পর্যটনখাত এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।'
পর্যটকদের সুবিধায় শিগগিরই এই সড়কে আরও বাস যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানায় বিআরটিসি।
বিআরটিসির পরিচালক ড. অনুপম সাহা বলেন, 'এই ধারা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে এই বহরে আরও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাস যোগ করতে পারবো। ডিপো চালু করতে পারলে আন্ত:জেলা যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে।'
প্রতিদিন কক্সবাজার শহর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা ও সাড়ে ১০টায় ৭৫ জন করে যাত্রী নিয়ে রেজু ব্রিজ পর্যন্ত যাবে একটি ট্যুরিস্ট বাস। ব্রিজের অপর প্রান্তে অপেক্ষায় থাকা অন্য দুটি বাসে করে এসব পর্যটক তারা যাবেন দরিয়ানগর সৈকতে। যেখানে সূর্যাস্ত উপভোগের পর পর্যটকদের নিয়ে শহরে ফিরে আসবে পরিবহনগুলো।