স্বাস্থ্য
তীব্র গরমে বাড়ছে জ্বর-নিউমোনিয়াসহ হিটস্ট্রোক
সারাদেশে প্রচণ্ড তাপদাহে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বাড়ছে হিটস্ট্রোক। দেশের সব হাসপাতালেরই শয্যার বিপরীতে দ্বিগুণের বেশি রোগী ভর্তি আছে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। আবহাওয়া অফিস বলছে, এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে আরও কয়েক দিন।

বরাবরের মতোই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চেলর জেলা চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করছে। এতে বিপাকে দিনমজুর, রিকশাওয়ালাসহ শ্রমজীবী মানুষ। একদিকে তাদের কমছে রোজগার অন্যদিকে বাড়ছে অসুখের খরচ।

শ্রমজীবীরা বলেন, গরমে খুব কষ্ট হইতেছে। আমাদের কাজ-কাম কমে গেছে। তবুও কাজ করতে হয়। কাজ না করলে চলার মতো অবস্থা নাই। আমরা এখন বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করতেছি। আল্লাহ কখন বৃষ্টি দেয়।

অসহনীয় গরমে জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বাড়ছে হিটস্ট্রোক। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, গাজীপুর, নরসিংদী ও সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বাড়ছে আবহাওয়াজনিত রোগীর সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত শিশু ও বৃদ্ধরা।

তীব্র গরমে বিপাকে দিনমজুর-রিকশাওয়ালারা। ছবি: এখন টিভি

স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কোথাও কোথাও কয়েকগুণ বাড়তি রোগীর কারণে দেখা দিয়েছে শয্যা সংকট। হিমশিম অবস্থা নার্স ও চিকিৎসকদের। কোথাও কোথাও চিকিৎসা কার্যক্রম কিছুটা ব্যাহত হলেও সামর্থ্যের সবটুকু দিয়ে সেবা দেয়ার চেষ্টা করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবুও সেবা নিয়ে স্বজনদের আছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

রোগীর স্বজনরা বলেন, বাচ্চার কয়েকদিন যাবত জ্বর-পেট ব্যাথা। বারান্দায় রাখছে হাসপাতালে সিট নাই। এ গরমে বাচ্চা আরও অসুস্থ হয়ে পড়তেছে।

এদিকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় চলমান তাপদাহ সপ্তাহ অতিক্রম করতে পারে বলে সতর্কবার্তা আবহাওয়াবিদদের।

হাসপাতালে সিট না পেয়ে বারান্দাতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। ছবি: এখন টিভি

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, 'চুয়াডাঙ্গা ও এর আশেপাশের যেসব এলাকায় তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা অব্যাহত থাকতে পারে।'

এ অবস্থায় পরিবারের শিশু ও বয়স্কদের বাড়তি যত্ন নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আফজালুর রহমান। তিনি বলেন, 'একজন জন্ডিস আক্রান্ত রোগীর খাওয়া গ্লাসে যদি অন্য কেউ পানি পান করে তাহলে তারাও আক্রান্ত হয়ে যাবে।'

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ১৩০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে ২৮০ জন। প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে প্রায় ১০০ জন। একইভাবে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ১২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি আছে প্রায় ২৫০ জন রোগী। এর মধ্যে বেশিরভাগই জ্বর, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত।

এভিএস