পাঠ্যপুস্তকে আল মাহমুদের লেখা পুনর্বহালের দাবি, চার গবেষককে পদক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউটের ট্রাস্টি, নজরুল গবেষক মো. জেহাদ উদ্দিন বলেছেন, 'গেল পনেরো বছরে আক্রোশের বশবর্তী হয়ে ফ্যাসিবাদী সরকার আল মাহমুদের অনেক কবিতা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দিয়েছে। এমনকি ভাষা আন্দোলন নিয়ে কবির বিখ্যাত কবিতাটিও বাদ দেয়া হয় পাঠ্যপুস্তক থেকে। তাই জুলাই অভ্যুত্থানের পরের বাংলাদেশে নজরুলের পাশাপাশি কবি আল মাহমুদের সাহিত্যকে পাঠ্যপুস্তকসহ উচ্চশিক্ষায় ছড়িয়ে দিতে হবে।'
'ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও বিকৃত করা হয়েছে'
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসও বিকৃত করা হয়েছে জানিয়ে জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, কেউ খেলতে চাইলে জামায়াত দাবার গুটি হবে না। আজ (শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি) আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প আলোচনা সভায় জামায়াত নেতারা বলেন, ভাষা সংগ্রামীদের পুনর্বাসনে কোন সময়ই যথাযথ উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
ফ্যাসিবাদের মৃত্যু অনিবার্য: ডা. শফিকুর রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ফ্যাসিবাদের মৃত্যুই হলো অনিবার্য। তারা যতই ফিরে আসার চেষ্টা করুক প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না। আজ (শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে পল্টনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপের দাবি রাখাইন আদিবাসীদের
শিশুর হাসি, ভাষা সবই মাতৃভাষায়। কিন্তু রাখাইন শিশুদের সেই ভাষা আজ হারিয়ে যাওয়ার পথে। বরগুনার রাখাইন পাড়াগুলোতে নেই ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র। না আছে ভাষা শেখার সুযোগ, নেই ভাষা চেনার পথ। মাতৃভাষার অস্তিত্ব রক্ষায় তাই কার্যকর পদক্ষেপের দাবি উপকূলের রাখাইন আদিবাসীদের।
নেত্রকোণায় প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা
নেত্রকোণা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অমর একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রশাসন ও সর্বস্তরে জনতা। রাত ১২টা এক মিনিটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। এর পরপরই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
'একুশে ফেব্রুয়ারি যেকোনো অধিকার আদায়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে'
যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন একুশে ফেব্রুয়ারি যেকোনো অধিকার আদায়ে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষায় আধিপত্য ইংরেজির!
একুশে ফেব্রুয়ারি শুধু বাংলাভাষীদের জন্য নয় এটি সকল ভাষাভাষীদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানানো দিন। ১৯৫২ সালে বুকের তাজা রক্তে অর্জিত বাংলা ভাষা আজ বিদেশি ভাষার দখলে। শহরের স্কুল-কলেজ থেকে বিপণিবিতান, সর্বত্র ইংরেজির আধিপত্য। ভাষা পরিবর্তনশীল, তবে অতিরিক্ত নির্ভরতা বাংলাকে দুর্বল করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি উদ্যোগে বাংলার ব্যবহার বাড়ানো জরুরি।
১৮ ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
১৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও নারী ফুটবল দলকে একুশে পদক তুলে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ (বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের তিনি এ পদক তুলে দেন।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নিষ্ক্রিয় থাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়নি শিক্ষার্থী অধিকার
তিন দশকের বেশি সময় ধরে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নিষ্ক্রিয় থাকায় নেতৃত্ব তৈরি এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হচ্ছে না মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এর সুযোগ নেয় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তৈরি করে ভয়ের সংস্কৃতি। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের পর তাই জোরালো হয় ছাত্র সংসদকে সক্রিয় করার দাবি। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির ও ছাত্র ইউনিয়ন দ্রুত নির্বাচনের কথা বললেও পর্যাপ্ত সময় চাইছে ছাত্রদল।
হারিয়ে যাচ্ছে বগুড়ার আঞ্চলিক শব্দ আর ভাষাগুলো
হামি, তুমি, মুই হামরা। গান, গল্প, কবিতা আর উপন্যাসেও তেমন ঠাঁই নেই এই ভাষার। শুদ্ধ ভাষার চর্চা করতে গিয়ে দিনকে দিন প্রমিত ভাষা কেড়ে নিচ্ছে মায়ের মুখ থেকে শেখা এমন শব্দ আর আঞ্চলিক ভাষাগুলো। আঞ্চলিক স্বাতন্ত্র রক্ষায় এই ভাষাগুলো বাঁচাতে দরকার পৃষ্ঠপোষকতা।
এতো স্বগৌরব ইতিহাস, তবুও কেন প্রশ্নের মুখে ছাত্ররাজনীতি
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান কিংবা একাত্তরের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের গোড়াপত্তনের ইতিহাসে কোথায় অবদান নেই ছাত্র আন্দোলনের! ইতিহাস বলে, স্বাধীনতা পরবর্তী গণতান্ত্রিক সংগ্রামেও নেতৃত্ব দিয়েছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
'একুশের চেতনা হোক নতুন প্রজন্মের চালিকাশক্তি'
একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ ভাষাশহীদদের বিনম্র চিত্তে স্মরণ করেন তারা। দুঃখিনী বর্ণমালার গল্প শুনতে শিশুরাও আসে বাবা-মায়ের হাত ধরে। বায়ান্ন'র ভাষা আন্দোলন, একুশের চেতনা হোক নতুন প্রজন্মের চালিকাশক্তি- এমনই প্রত্যাশা সবার।