
কোনোভাবেই এগোতে পারছে না বাংলাদেশের চা শিল্প
কোনোভাবেই চা শিল্পে আর এগোতে পারছে না বাংলাদেশ। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বন্ধ চা বাগানের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে পুরো শিল্প এ মুহূর্তে সংকটময় এক সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। তবে এ সংকট থেকে বের হয়ে চা শিল্পের ভিত মজবুত করতে রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ চা বোর্ড।

সীমান্তে অবৈধ পথে ঢুকছে চা, ক্ষতির মুখে খাত সংশ্লিষ্টরা
দশ লাখ কেজি চা পাতা অবিক্রিত থাকার পরও আমদানি করছেন ব্যবসায়ীরা, তাও আবার সরকারের চোখ ফাঁকি দিয়ে। গত পাঁচ বছরে শ্রীলংকা, যুক্তরাজ্য, চীনসহ নানা দেশ থেকে ৫০০ মিলিয়ন ডলারের চা পাতা আমদানি হয়েছে। এছাড়া সীমান্তে অবৈধ পথেও ঢুকছে চা পাতা। এতে একদিকে রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে ক্ষতির মুখে পড়ছেন চা খাত সংশ্লিষ্টরা।

বিভিন্ন কারণে চায়ের উৎপাদন কমেছে প্রায় ১০ ভাগ
২০২৩ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ চা উৎপাদন হলেও, গেলো বছর এনটিসি'র বাগানে শ্রমিক অসন্তোষ, তীব্র খরা আর অতিবৃষ্টির কারণে চা শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। উৎপাদন কমেছে ১০ ভাগ। এবছরও অনিশ্চয়তা নিয়েই শুরু হয়েছে চা উৎপাদন। দেশে অবৈধভাবে চায়ের প্রবেশ ঠেকাতে পারলে এবং চায়ের ন্যায্য দাম নিশ্চিত করতে পারলে এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

নেত্রকোণার পাহাড়ি এলাকায় চা চাষের নতুন সম্ভাবনা
খরচের তুলনায় লাভ কম, তাই নেত্রকোণার পাহাড়ি এলাকায় কমছে ধানের আবাদ। যেখানে নতুন অর্থকরী ফসল হিসেবে নতুন সম্ভাবনা চা। স্থানীয়রা বলছেন, পাহাড়ি টিলাগুলোতে চা চাষ করলে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ সমৃদ্ধ হবে আঞ্চলিক অর্থনীতি। চা বোর্ডের হিসেবে ময়মনসিংহের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে বছরে প্রায় ১৬ দশমিক তিন সাত মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করা সম্ভব।

সমতলের চা শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনে ক্ষুদ্র চা চাষিরা
সমতলের চা শিল্পে সংকট যেন কাটছেই না। ভরা মৌসুম এলেই কমিয়ে দেয়া হয় চা পাতার দাম। এতে লোকসান গুণতে হয় চা চাষিদের। একদিকে মিলছে না ন্যায্য দাম, অন্যদিকে ওজন থেকেও বাদ দেয়া হচ্ছে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত। সমতলের চা শিল্প বাঁচাতে তাই আন্দোলনে নেমেছে ক্ষুদ্র চা চাষিরা। ন্যায্যমূল্য, চা আইন সংশোধনসহ তুলে ধরেছেন আট দফা দাবি। চলছে বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি।