
গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাবে সমর্থন ইউরোপের চার দেশের
ওআইসির পর গাজা পুনর্গঠনে মিশরের দেয়া প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ইউরোপের চার দেশ, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্য।

গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাবে ওআইসির সমর্থন
আরব লীগের পর গাজা পুনর্গঠনে মিশরের প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে ওআইসি। শনিবার জেদ্দায় সংস্থাটির জরুরি বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী ধাপ হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন ও জাপানের সমর্থন লাভের চেষ্টা চালানো হবে বলে জানিয়েছেন মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা পুনর্নির্মাণে সময় লাগবে ১০ বছর
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার পুনর্নির্মাণে ব্যয় হবে পাঁচ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার। আর এতে সময় লাগবে কমপক্ষে ১০ বছর। প্রথম তিন বছরেই প্রয়োজন হবে দুই হাজার কোটি ডলার। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। এদিকে ধ্বংসস্তূপ সরানোর যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম গাজায় প্রবেশে বাধা দিচ্ছে ইসরাইলি প্রশাসন।

গাজা পুনর্গঠনে বৈঠকে বসছে আরব বিশ্ব
নড়বড়ে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় আজ (শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি) আরো ৩ ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তি দিলো হামাস। বিনিময়ে ইসরাইল মুক্তি দিচ্ছে সাড়ে ৩শ'র বেশি ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে। এদিকে, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করে গাজা পুনর্গঠনে চলতি সপ্তাহে জরুরি বৈঠকে বসছে আরব বিশ্ব।

মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প
মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে যেন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আবারও বলেছেন, গাজা পুনর্গঠনের জন্য এই উপত্যকা থেকে ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে ভূখণ্ড দখলে নেবেন। জর্ডানের রাজার সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, এতেই মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। যদিও নমনীয়ভাবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে জর্ডানের রাজা বলেন, মিশরের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত না করে গাজা পুনর্গঠনে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চায় আরব বিশ্ব।

মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীলতা: যুদ্ধবিরতি আলোচনায় ট্রাম্পের নতুন প্যারামিটার!
গাজা পুনর্গঠন নয় বরং যুদ্ধবিরতি বিষয়ক আলোচনার প্যারামিটার নতুন করে নির্ধারণ করাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য বলে মনে করছেন মধ্যপ্রাচ্য বিশেষজ্ঞরা। এমনকি, ইসরাইলি গণমাধ্যমের দাবি, গাজাবাসীকে অন্যত্র সরানোর বিষয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা কখনও বাস্তবায়িত হবে না। তবে, অস্থিতিশীল হয়ে পড়তে পারে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আর মার্কিন বিশ্লেষকরা বলছেন, যা কেউ কখনও কল্পনা করতে পারে না, এমন সমাধানের পথ বাতলে দিয়ে সবসময়ই খবরের শিরোনাম হতে চান নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট।