
'পশ্চিমারা ইউক্রেনকে সহায়তা দেয়ায় অনেক সময় নিয়ে ফেলছে'
পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় নিয়ে ফেলছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক বিশেষ স্বাক্ষাতকারে এ তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

রুশ সেনাদের দমিয়ে রাখতে পারছে না কিয়েভ
ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে শক্তিশালী অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া। রুশ সেনাদের দমিয়ে রাখতে পারছে না কিয়েভ। হাজার হাজার সেনা সম্মুখসারিতে থাকায় পেরে উঠছে না ইউক্রেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, খারকিভ দখলে নিলে রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বসতে হতে পারে ইউক্রেনকে।

ইউক্রেনের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে রাশিয়া
সম্মুখযুদ্ধে সেনা আর অস্ত্র সংকটে হিমশিম খাওয়া ইউক্রেনে হঠাৎ করেই হামলা চালিয়ে খারকিভের কয়েকটি গ্রাম দখলে নিয়েছে রাশিয়া। ওয়াশিংটনের ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার বলছে, মস্কোর সেনা সক্ষমতা বেশি থাকায় শত কিলোমিটার এলাকার কোথায় কিয়েভকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে, সেটা নিয়ে ইউক্রেনকে বিভ্রান্ত করছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে কারাবন্দিরা
কারাবন্দিদের সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার ব্যাপারে বিল পাশ করেছে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট। গতকাল (বুধবার, ৮মে) ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। ইউক্রেনীয় পার্লামেন্ট চেয়ারপারসন ও প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কি প্রস্তাবটিতে স্বাক্ষর করলেই বিলটি আইনে পরিণত হবে।

রাশিয়ার জন্যে ইইউর আকাশসীমা বন্ধের অনুরোধ কিয়েভের
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শমিগাল ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি কেবল রুশ ও বেলারুশের ফ্লাইটের জন্যেই নয়, এই দু’দেশের যাত্রীদের জন্যেও আকাশসীমা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

ড্রোন হামলায় ছয় রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের দাবি ইউক্রেনের
দক্ষিণ রাশিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। ওই অভিযানে রোস্তভ অঞ্চলের একটি বিমানঘাঁটিতে ছয়টি রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে কিয়েভ।

মস্কো হামলায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার প্রমাণ
মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে তদন্তকারী দল। সন্ত্রাসীদের মুঠোফোনে ইউক্রেনীয় সেনাদের ছবি পাওয়া গেছে। অর্থ ও ক্রিপ্টোকারেন্সি কিয়েভ থেকে পাঠানো হয়েছে।

শান্তি সম্মেলনে মস্কোকে আনার চিন্তা কিয়েভের
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে নিতে পশ্চিমা মিত্রদের সহয়তার উপর যারা নির্ভরশীল, সেই ইউক্রেন নিজেই প্রতিরক্ষা শিল্পের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে গোলাবারুদ উৎপাদন তিনগুণ বেড়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। একই সময় মে মাসের শেষের দিকে রাশিয়া নতুন মাত্রায় আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বলে শঙ্কায় রয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন।