রাশিয়ার সঙ্গে সংঘাত শুরুর পর পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তা পেলেও সম্প্রতি অস্ত্র সহায়তায় টান পড়ায় এখন অনেকটাই চাপের মুখে কিয়েভ। পাশাপাশি গোলাবারুদ ও জনবল সংকটের অভিযোগ তুলেছেন দোনেস্ক অঞ্চলের সম্মুখ সারির যোদ্ধারা। তাদের দাবি স্নায়ু যুদ্ধ, সামরিক সক্ষমতা আর স্থলাভিযানের মধ্যে সমন্বয়হীনতার অভাব ক্রমেই আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানো এবং লোকবল সংকটের বিষয়টি মাথায় রেখে, কারাবন্দিদের যুদ্ধে পাঠানো ও সেনাবাহিনীতে যোগদানের অনুমতি দিয়ে একটি বিল পাশ করেছে দেশটির পার্লেমেন্ট।
পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর বিষয়টি নিশ্চিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও এক্সে আলাদা দুটি পোস্ট দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের প্রধান এমপি ওলেনা শুলিয়াক। পোস্টে ওলেনা জানাচ্ছেন, বিলটি আইনে পরিণত হলে কিছু বিশেষ শ্রেণির কারাবন্দিরা চাইলে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বিভাগে যোগ দিতে পারবেন।
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য কোনো কারাবন্দিকে চাপ দেয়া যাবে না। পাশাপাশি যারা যৌন সহিংসতা, দুর্নীতি কিংবা দুটির বেশি খুনের মামলার আসামি তারা এই সুযোগ পাবেন না। ওলেনা আরও বলছেন, কারগারে আটক সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের এই তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বিলটির খসড়া প্রস্তাবে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল বন্দির সাজা ভোগের মেয়াদ শুধুমাত্র তিন বছরের কম বাকি রয়েছে তারাই সেনাবাহিনীতে যোগদান করতে পারবে। অন্যরাও চাইলে এই সুযোগ নিতে পারে কিন্তু তাহলে তাদের শাস্তি মওকুফের বদলে প্যারোলে মুক্তি দেয়া হবে।
তবে ইউক্রেনের এই পদক্ষেপ নিয়ে নানা বিতর্কও সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বন্দিদের সেনাবাহিনীতে যোগদানের বিষয়টির বিরোধিতা করছিল কিয়েভ।