৬ ঘণ্টা বাকবিতণ্ডার পরও ইওলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ
৬ ঘণ্টা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার পরেও দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দেশটির পুলিশ। ক্ষমতার অপব্যবহার ও দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নেয়ায় গেল ডিসেম্বরের পার্লামেন্টে অভিশংসিত হন ইওল। চলতি সপ্তাহের শুরুতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে দক্ষিণ কোরিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। পরপর ৩ বার আদালতের সমন উপেক্ষা করলে শুক্রবার সকালে মধ্য সিউলে প্রেসিডেন্টের বাসভবনের জড়ো হয় পুলিশ।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিশংসনে ভোটগ্রহণ শুরু
দ্বিতীয়বারের মতো অভিশংসন ভোটের সম্মুখীন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, স্থানীয় সময় আজ (শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় দেশটির পার্লামেন্টে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ।
‘দক্ষিণ কোরিয়ায় অস্থিতিশীলতার সুযোগে হামলা করতে পারে উত্তর কোরিয়া‘
একনায়কতন্ত্রের পথকে সুগম করতে সামরিক আইন জারি করার অভিযোগে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে অভিশংসন প্রস্তাব। দুই-তৃতীয়াংশ আইন প্রণেতাদের ভোট ইয়ুন সুক ইওলের বিরুদ্ধে গেলে অফিস ছাড়তে বাধ্য হবেন তিনি। এদিকে বিরোধী দলের প্রধানের দাবি, দেশের অস্থিতিশীলতার সুযোগে দক্ষিণ কোরিয়ায় হামলা করতে পারে উত্তর কোরিয়া।
মার্শাল ল নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে দ. কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক
কোনো ধরনের আগাম প্রস্তুতি বা আলোচনা ছাড়াই দেশজুড়ে সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত নেয়ায় দেশ ও দেশে বাইরে সমালোচিত হচ্ছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল। পরে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করলেও দেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়, ঠিক কী কারণে সামরিক আইন জারির প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি হয়েছিল। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাষ্ট্রের কাছেও সামরিক আইন জারির সিদ্ধান্ত ছিল অপ্রত্যাশিত।