প্রবাসী-আয়
১৫ বছরের ঋণের বোঝা আর মূল্যস্ফীতির চাপে দিশাহারা মানুষ
গত ১৫ বছরে দেশি-বিদেশি ঋণ নিয়ে দেশের অর্থনীতির অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠেছে এমন উন্নয়নে যে ব্যয় দেখানো হয়েছিল তার বেশিরভাগই হয়েছে আত্মসাৎ ও পাচার। ফলে একদিকে যেমন বেড়েছে ঋণের বোঝা অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির চাপে নাজেহাল হয়েছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় অর্থনীতি সংস্কারে কাজ শুরু করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যেখানে মূল্যস্ফীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার
চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২২২ কোটি ডলার। যা জুলাই মাসের তুলনায় ৩১ কোটি ডলার বেশি। আজ (রোববার, ১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আগস্টের ২৮ দিনের রেমিট্যান্স এলো ২০৭ কোটি ১০ লাখ ডলার
আগস্ট মাসের প্রথম ২৮ দিনের রেমিট্যান্স আয় দুই বিলিয়ন বা ২০৭ কোটি ১০ লাখ। চলতি বছর একই সময়ে ৬৪ কোটি ডলার বেশি প্রবাসী আয় এসেছে। দেশে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে আবার ঊর্ধমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।
সরকার পতনের পর বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্স, শীর্ষে আমিরাতের প্রবাসীরা
ক্ষমতার পালাবদলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার পতনের পর থেকেই দেশে বেড়েছে বৈধপথে রেমিট্যান্সের প্রবাহ। চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে দেশে এসেছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। বৈধভাবে বৈদেশিক রাজস্ব পাঠানোতে শীর্ষে আছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাংলাদেশি প্রবাসীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রবাসীদের জন্য কার্যকরভাবে সুযোগ-সুবিধা বাড়ালে রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে মত তাদের।
এক সপ্তাহে রেমিট্যান্স এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার
চলতি আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশে রেমিট্যান্স আসা থমকে গেলেও শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর জোয়ার আসতে শুরু করেছে। আগস্টের প্রথম ১৭ দিনে দেশে বৈধ পথে ১১৩ কোটি ৪২ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এর মধ্যে শুধু ১১ থেকে ১৭ আগস্ট পর্যন্ত সাতদিনে এসেছে ৬৫ কোটি ১৪ লাখ ডলার। যা প্রতি ডলার ১১৮ টাকা হিসাবে দাঁড়ায় ৭ হাজার ৬৮৬ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে রেমিট্যান্স শাটডাউনে যুক্ত হন প্রবাসীরা। ফলাফল গেলো জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স আসে বাংলাদেশে। তবে, আশার কথা হলো দেশ গঠনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতকে শক্তিশালী করতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে আগ্রহী মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
প্রবাসী আয় বাড়লেও স্থানীয় বিনিয়োগে অবদান যৎসামান্য
প্রবাসী আয় দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশের অনুঘটক। তাই গত ৫ দশকে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে প্রবাসী আয় মুখ্য ভূমিকা পালন করে আসছে। সময়ের পালাবদলে প্রতিনিয়তই বাড়ছে প্রবাসী আয়ের পরিমাণ। কিন্তু আনুপাতিক হারে কি স্থানীয় বিনিয়োগে এই খাতের অবদান বেড়েছে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের বিনিয়োগ স্থানীয়ভাবে এখনও আশানুরূপ নয়। ফলে দেশের অঞ্চলভিত্তিক প্রবৃদ্ধি ও শ্রমবাজারে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব।
জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স
হঠাৎ করেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রবাহ কমে প্রবাসী আয়ে। প্রথম ২৭ দিনে রেমিট্যান্স আসে ১৫৬ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। পরে মাসের শেষ চার দিনে তা অনেকটাই বেড়ে দাঁড়ায় প্রায় ১৯১ কোটি ডলার। এরপরও তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। আমদানি-রপ্তানির ঘাটতি পূরণ করা এই প্রবাসী আয় কমায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর তাই সমস্যা সমাধানে যথাযথ উদ্যোগ নেয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
বছরশেষে তাক লাগানো রেমিট্যান্স; ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এসেছে ২৩.৯১ বিলিয়ন ডলার
সদ্য সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে তাক লাগানো রেমিট্যান্স এসেছে। এই সময়ে প্রবাসীরা দেশে ২৩.৯১ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। যা সবশেষ তিন অর্থবছরে সর্বোচ্চ।
মে মাসের ২৪ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৯ কোটি ডলার
মে মাসের প্রথম ২৪ দিনে দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এসেছে ১৭৮ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। গেল কয়েক মাসের চেয়ে মে মাসে তুলনামূলক রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে বলে হিসেবে দেখা গেছে।