
নোয়াখালীতে বন্যার পানির সঙ্গে বাড়ছে খাদ্য সংকট
নোয়াখালীতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। প্রতিনিয়ত লোকালয়ে বাড়ছে পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীসহ ৮টি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় এক থেকে দেড় ফুট উচ্চতায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে খাদ্য সংকট।

ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলে দিলো ভারত
দিনে ১১ লাখ কিউসেক পানি ঢুকবে বাংলাদেশে
ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের সবগুলো গেট অর্থাৎ ১০৯টি গেটই খুলে দিয়েছে ভারত। আজ (সোমবার, ২৬ আগস্ট) এই গেটগুলো খুলে দেয়া হয়। বাঁধ খুলে দেয়ার ফলে দিনে ১১ লাখ কিউসেক পানি ঢুকবে বাংলাদেশে। এতে করে বন্যার প্রবল আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশের বেশ কিছু অঞ্চলে।

নোয়াখালীতে বন্যায় আটকা অন্তঃসত্ত্বাকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী
নোয়াখালীতে বন্যার পানিতে আটকা পড়া গুরুতর অসুস্থ অন্তঃসত্ত্বা এক নারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। অসুস্থ ওই নারী বন্যার পানিতে কয়েকদিন নিমজ্জিত ছিলেন।

পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা; যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন
৪ দিন পরেও পানির নিচে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা। বিচ্ছিন্ন রয়েছে বিদ্যুৎ, মোবাইল নেটওয়ার্ক ও সড়ক যোগাযোগ। এরইমধ্যে কিছু স্থানে পানি নামতে শুরু করলেও কমেনি দুর্ভোগ। সারা দেশে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন।

বাংলাদেশকে না জানিয়ে ডম্বুর বাঁধ খুলেছে ভারত, বিবেচনায় নেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক
১৯৮৮ সালের পর স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখছে দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলের মানুষ। অতিভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানিতে ভাসছে গ্রামের পর গ্রাম। অভিযোগ উঠেছে, বাংলাদেশকে না জানিয়ে ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ খুলে দিয়েছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিবেচনায় রাখা দরকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়টি। সংকটাপন্ন এই অবস্থার জন্য তথ্যের অপ্রতুলতাও দায়ী। বন্যার ক্ষতি কমাতে বাংলাদেশকে জনসম্পৃক্তমূলক বাধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষেণের পরামর্শ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ড. গওহার নাইম ওয়ারার।

বন্যায় নোয়াখালীতে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৪ লাখ মানুষ
ভারি বৃষ্টি ও ফেনীর মহুরী নদী থেকে নেমে আসা পানিতে নোয়াখালীতে বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। এতে জেলার নয়টি উপজেলার প্রায় ৪ লাখ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। এছাড়া গ্রামীণ সড়কে সব ধরনের যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কবলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি বৃষ্টির কবলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও জেলা। টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার কবলে বরিশাল, নোয়াখালী ও ফেনীসহ উপকূলীয় বেশকিছু জেলার নিম্নাঞ্চল। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় ডুবে আছে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।

দুই দশকেও শিল্প সহায়ক হয়নি নোয়াখালী বিসিক শিল্পনগরী
প্রতিষ্ঠার প্রায় দুই দশকেও শিল্প সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়নি নোয়াখালী বিসিক শিল্পনগরীতে। গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংকট, চুরি-ছিনতাই ও নিরাপত্তাহীনতায় বরাদ্দকৃত প্লটগুলো বছরের পর বছর খালি পড়ে আছে। হাতে গোনা যে কয়টি শিল্প প্রতিষ্ঠান সচল, নানা সমস্যায় সেগুলোও অনেকটা বন্ধের পথে। শিল্প উদ্যোক্তা আর স্থানীয়দের কাছে নতুন আতঙ্ক শিল্পনগরীর ভেতর অবৈধভাবে গড়ে উঠা ব্যাটারি গলিয়ে সিসা তৈরির কারখানা। তবে বিসিক কর্তৃপক্ষ যেন কিছুই দেখছেন না।

ক্রেতা সেজে বিশেষ কায়দায় স্বর্ণের দোকানে লুট
দক্ষিণবঙ্গে ছক কষে উত্তরবঙ্গসহ বিভিন্ন জেলায় লুট করে স্বর্ণের দোকান। ক্রেতা সেজে তথ্য সংগ্রহের পর বিশেষ কায়দায় লুটের পরিকল্পনা চলে তাদের। পদে-পদে দায়িত্ব ভাগ করে দোকান লুট করে গা ঢাকা দেয় চক্রটি। তাদের টার্গেট স্বর্ণ, মোবাইল আর বিকাশের দোকান। একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে চতুর এই চক্রের সন্ধান পায় বগুড়ার পুলিশ।

পুকুর, খাল দখলে ব্যহত হচ্ছে নোয়াখালীর পানি সরবরাহ
নোয়াখালীর চৌমুহনীতে চলছে জলাশয় দখলের মহোৎসব। সরকারি ভরাট করে অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা। এতেকরে এক দিকে ব্যহত হচ্ছে জেলার পানি সরবরাহ। অন্যদিকে পানি চলাচলের পথ ব্যাহত হওয়ায় বর্ষায় সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগ বাড়ে ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের।

নোয়াখালীতে ৭০ হাজার চারাগাছে স্প্রে করে পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
নোয়াখালী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে মায়া নার্সারির প্রায় ৭০ হাজার গাছ আগাছানাশক বিষাক্ত কেমিক্যাল স্প্রে করে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। পুড়িয়ে ফেলা গাছের মূল্য প্রায় ১৬ লাখ টাকা বলে দাবি ভুক্তভোগী নার্সারির মালিক মফিজুর রহমানের।

তিন বিভাগে প্রাণিসম্পদের ক্ষয়ক্ষতি দেড় কোটি টাকার
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপকূলীয় সব এলাকা। এখনো পানিতে ডুবে আছে অনেক গোচারণ ভূমি। এমন অবস্থায় তৈরি হয়েছে পশুখাদ্যের সংকট। যার প্রভাব পড়তে পারে কোরবানির বাজারে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের হিসাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগে প্রায় দেড়কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।