
প্রতিবছর জলবায়ু সম্মেলন না করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান ড. ইউনূসের
বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চেই এবার এই সম্মেলনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বললেন, সম্মেলনের নামে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে ডেকে সময় অপচয়কে পাশাপাশি করা হচ্ছে অপমান। তাই প্রতিবছর এ ধরনের সম্মেলন না করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে নজর দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে আজারবাইজানে তার সফরের শেষদিন দেশটির রাষ্ট্রপতির সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঢাকায় হাইকমিশন স্থাপন ও বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে পূর্ব ইউরোপের দেশটি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ চীনের
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক অনুদান বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে এশিয়ার অন্যতম পরাশক্তি চীন। অন্যদিকে রাশিয়ার অভিযোগ, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ইস্যু ব্যবহার করে অসুস্থ এক প্রতিযোগিতায় নেমেছে কোনো কোনো দেশ। যদিও, জি টোয়েন্টি জোটভুক্ত দেশগুলোর আচরণে ক্ষুব্ধ জাতিসংঘ মহাসচিব। বলেন, জলবায়ু ইস্যুতে উন্নত রাষ্ট্রের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিনিয়ত বিপদে পড়ছে অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলো।

অপরিকল্পিত উন্নয়ন যত হবে তত বেশি ধ্বংসের মুখে পড়বে বিশ্ব: ড. ইউনূস
২৯তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সভ্যতা এখন হুমকির মুখে বলে বিশ্বনেতাদের সতর্ক করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, জলবায়ু সংকট তীব্রতর হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় জ্ঞান, অর্থ আর নতুন প্রজন্ম এক হয়ে কাজ করলে রক্ষা করা যাবে এই সভ্যতা। বুধবার আজারবাইজানের বাকুতে ২৯তম জলবায়ু সম্মেলনে লিডার সামিটে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় তিনি জলবায়ু রক্ষায় নতুন করে বিশ্বের সামনে 'থ্রি জিরো' নীতি তুলে ধরেন।

প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করবে ট্রাম্প
জানুয়ারিতে শপথ গ্রহণের পর ফের 'প্যারিস জলবায়ু চুক্তি' থেকে দ্বিতীয় দফায় যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প, জানিয়েছেন দেশটির জলবায়ু বিষয়ক প্রতিনিধি। আর ২০৩৫ সাল নাগাদ যুক্তরাজ্যের গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণের পরিমাণ ৮১ শতাংশ পর্যন্ত কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার।

'জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন জরুরি'
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় মানুষের অভ্যাস পরিবর্তন সবচেয়ে জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। বলেছেন, এ ক্ষতি মোকাবিলায় অর্থ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ২৯তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিয়ে আজ (মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে তরুণদের সাথে এক মতবিনিময়ে এসব কথা বলেন তিনি।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধে দরকার প্রতিদিন ১০০ কোটি ডলার
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রতিদিন প্রায় ১০০ কোটি ডলার প্রয়োজন। অথচ মিলছে মাত্র সাড়ে ৭ কোটি ডলার। ধরিত্রীকে রক্ষায় আজারবাইজানের বাকুতে জড়ো হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ২শটি দেশের প্রতিনিধি। জাতিসংঘ বার্ষিক জলবায়ু সম্মেলনের সভাপতির কণ্ঠে ছিল বিশ্বকে বাঁচানোর আহ্বান। সঙ্গে নিজ নিজ দেশ দেশের স্বার্থ রক্ষার জন্যে হলেও ক্লাইমেট ফাইনান্সের ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা।

জলবায়ু পরিবর্তনে গত দশকে ২ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতি
জলবায়ু পরিবর্তনে চরম বৈরি আবহাওয়ার কারণে গেল দশকে ২ লাখ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির।

হবিগঞ্জে ঝড়ের সাথে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি
হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝড়ের সাথে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়েছে। হঠাৎ শুরু হওয়া অসময়ের এই শিলাবৃষ্টি সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে।

পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক স্থান সাহারা মরুভূমিতে বন্যা
ভবিষ্যতে বাড়বে বৃষ্টিপাত
কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো পৃথিবীর অন্যতম শুষ্ক স্থান সাহারা মরুভূমিতে বন্যা দেখা দিয়েছে। ধু ধু মরুভূমির মধ্যে পানি জমে তৈরি হয়েছে ছোট ছোট হ্রদ। এই ঘটনা তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো বিশ্বকে। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভবিষ্যতে বৃষ্টিপাত আরো বাড়বে সাহারাতে।

নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন বিষয়ে ট্রাম্প-কামালার মধ্যে মতবিরোধ
আসন্ন মার্কিন নির্বাচন ঘিরে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট কাড়ার চেষ্টা কামালা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মার্কিন অর্থনীতি, অভিবাসন, বন্দুক আইন, গর্ভপাত, বৈদেশিক নীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে দুই প্রার্থীর মধ্যে চলছে মতবিরোধ। তবে কোন নীতিকে গ্রহণ করবেন ভোটাররা তা সময়ই বলে দেবে।

অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব বাড়বে: রিজওয়ানা হাসান
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা না করা গেলে এবং অভিন্ন জলরাশি নীতিমালা না হলে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব আরও বাড়বে।

জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলার বরাদ্দে বৈষম্য রয়েছে: সিপিআরডি
বছর বছর বরাদ্দ বাড়লেও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ক্ষতিগ্রস্ত সব অঞ্চল সমান বরাদ্দ পাচ্ছে না। জলবায়ু গবেষণা সংস্থা সিপিআরডির গবেষণা বলছে, চট্টগ্রাম ও বরিশাল উপকূলের মাত্র এক তৃতীয়াংশ বরাদ্দ পায় বরেন্দ্র অঞ্চল। এতে পরিবেশগত নানা সমস্যার পাশাপাশি এ অঞ্চলে কমছে কৃষি উৎপাদন। মাত্রা বেড়েছে চলছে। ২০১১ সালে এই অঞ্চলের বার্ষিক গড় তাপমাত্রা ছিল ৩১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর সেই তাপমাত্রা ছাড়িয়েছে রেকর্ড অর্থাৎ ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে উপকূলীয় এই অঞ্চলে দিন দিন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট হচ্ছে।