পয়লা বৈশাখ ঘিরে ঘটে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন
চৈত্র সংক্রান্তি বা পহেলা বৈশাখের আয়োজন দুটোই যেন জড়িয়ে আছে বাঙালির সত্তা ও সংস্কৃতিতে। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখের আয়োজন বাঙালির হৃদয় রাঙিয়ে তোলার পাশাপাশি বিশেষ ভূমিকা রাখে জনজীবন ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে। কালের আবর্তে বৈশাখী মেলাসহ হারাতে বসেছে এমন নানা আনুষ্ঠানিকতা। অর্থনীতিবিদের মতে, গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা করতে মেলাসহ সংক্রান্তির উৎসব ফিরিয়ে আনার বিকল্প নেই।
দুই মাসের মেলায় সমৃদ্ধ নাটোরের অর্থনীতি
চৈত্র সংক্রান্তির শুরু থেকে জ্যৈষ্ঠ পর্যন্ত চলনবিল অঞ্চলে চলে গ্রামীণ মেলা। নতুন ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি মেলা ঘিরে আশপাশের গ্রামে চলে উৎসবের আমেজ। স্থানীয়রা জানান, এই দুই মাসে দুই ডজনেরও বেশি মেলায় লেনদেন হয় অন্তত ২০ কোটি টাকা। যাতে সমৃদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় অর্থনীতি।
বাঙালি খাবারে সেজেছে রেস্টুরেন্টের মেন্যু
বছর ঘুরে আবারও এলো পহেলা বৈশাখ। নানা আয়োজনে বৈশাখকে বরণ করে নিয়েছেন উৎসব প্রিয় বাঙালিরা। সাজসজ্জা, পোশাক, খাবার সবকিছুতে বাঙালিয়ানা আর বৈশাখের আমেজ। ভাত-ভর্তা, মিঠাই, মন্ডা, খই, জিলাপি, বাতাসা এসবের পাশাপাশি জায়গা করে নিয়েছে পান্তা-ইলিশ।
বকুলতলায় চৈত্র সংক্রান্তির নানা আয়োজন
প্রথা মেনে পুরাতনকে বিদায় জানাতে চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজনে মেতেছিলো নগরবাসী। বাংলা বছরের শেষ দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলার বকুলতলায় সংক্রান্তির আয়োজনে আহ্বান জানানো হয় নতুনকে, যেখানে থাকবে না অতীতের গ্লানি।
বছরের শেষ দিন পালন করছেন কুড়িগ্রামের সনাতন ধর্মীরা
বাংলা বছরের শেষ মাস চৈত্রের শেষ দিন আজ। এ দিনকে বলা হয়ে থাকে চৈত্র সংক্রান্তি। সনাতন ধর্মের অনুসারীগণ পূজা-অর্চনা এবং নানান আচার-অনুষ্ঠান পালনের মাধ্যমে চৈত্র সংক্রান্তি পালন করে বিদায় জানিয়েছেন পুরাতন বছরকে। গ্রামীণ এবং নগর জীবনের মেলবন্ধনে একসাথে সবাই প্রস্তুতি নিয়েছেন নতুন বছর ১৪৩১ সালকে বরণ করতে।
বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব চৈত্র সংক্রান্তি আজ
বাংলা মাসের সবশেষ দিনটিকে বলা হয়ে থাকে সংক্রান্তি। চৈত্র মাস বলে এটিকে আলাদা করে বলা হয় চৈত্র সংক্রান্তি। এটি বাঙালির আরেকটি বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসব।