ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের ঘাঁটিতে সফল হামলার দাবি ইসরাইলের
ইয়েমেনি হুথি বিদ্রোহীদের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে সফল হামলার দাবি করেছে ইসরাইল। এছাড়া, দেশটির হুদেইদা বন্দরে ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৭ জন ও তেল শোধনাগারে হামলায় ২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এর আগে, ইসরাইলের মধ্যাঞ্চল লক্ষ্য করে ইয়েমেন থেকে ছোঁড়া একটি প্রোজেক্টাইল মিসাইল প্রতিহত করে তেল আবিব। এদিকে, হুথিদের উত্থান ও আসফালনের দায় ইরানকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন।
ইরানে নারী পোশাক সংক্রান্ত বিতর্কিত আইন কার্যকর স্থগিত
নারীদের পোশাকবিধি সংক্রান্ত বিতর্কিত নতুন একটি আইন কার্যকর স্থগিত করেছে ইরান। আগামী শুক্রবার কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও ‘হিজাব ও সতীত্ব আইন’ সোমবার স্থগিত করে ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ।
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে রহস্যজনক ড্রোন সদৃশ বস্তু
যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে উড়ছে রহস্যজনক ড্রোন সদৃশ বস্তু। নিউজার্সি, নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন স্থানে গেল সপ্তাহে অচেনা এসব আকাশযান উড়তে দেখে আতঙ্কে সরকারের কাছে জবাব চাইছেন স্থানীয়রা। রিপাবলিকানরা বলছেন, ইরান থেকে আসতে পারে এই ড্রোন। আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে এফবিআই, পেন্টাগন পুরো বিষয়টি অস্বীকার করে বলছে, দেশের জন্য এখনও কোনো ঝুঁকি তৈরি হয়নি। তবে এই আকাশযানগুলো নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
'প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল আসাদ সরকারের পতন'
যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং সিরিয়ার প্রতিবেশিদের যৌথ চক্রান্তের ফল, বাশার আল-আসাদের পতন বলে মন্তব্য করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তেহরানের কাছে এটির প্রমাণ আছে উল্লেখ করে, অঞ্চলটিতে কিছুতেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিত গাড়ার পরিকল্পনা সফল হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ার করেছেন তিনি। এখন ইসরাইলি আগ্রাসনে সিরিয়া আরও বেশি অস্থিতিশীল হওয়ার শঙ্কা ক্ষমতাচ্যুত আসাদের আরেক মিত্র রাশিয়ার।
রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় আসাদের পতন
রাশিয়া-ইরান দুর্বল হয়ে পড়ার কারণেই সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের পতন- যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন সিরিয়ায় থাকা ইরানি রাষ্ট্রদূত। বাশার আল-আসাদকে উৎখাতে মার্কিন মিত্র ইসরাইল বিদ্রোহীদের অস্ত্র দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। এ অবস্থায় সিরিয়া সরকার পিছু হটায় মিত্রদের পক্ষ থেকে জোরালো ভূমিকা পালন করা সম্ভব হয়নি বলেও দাবি করেন তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা সুসংহত হওয়ায় লাভবান ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!
আসাদের পতন ইরানের আঞ্চলিক শক্তিতে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় আঘাত। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা আধিপত্য বিরোধীরা। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষমতা আরও সুসংহত হলো বলে লাভবান হয়েছে ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র। তবে একইসঙ্গে এটি ইসরাইলের জন্য বড় হুমকিরও কারণ। বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ায় ঐতিহাসিক পরিবর্তনে সুসময় যেমন ফিরতে পারে, তেমনি অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে পারে পুরো অঞ্চলকে। বিশেষ করে আসাদের পতন ঘটানো বিদ্রোহীদের অনেকেরই যেখানে অতীত ইতিহাস সুখকর নয়, বরং ভয়াবহ।
সিরিয়ার চতুর্থ শহর দারা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা
ইদলিব, আলেপ্পো ও হামার পর চতুর্থ শহর দারা দখলে নিলো বিদ্রোহীরা। পাশাপাশি হায়াত তাহরির আল শাম প্রবেশ করেছে কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমসে। প্রাণে বাঁচতে চাইলে আসাদের দল ত্যাগ করে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার হুমকি দিয়েছে বিদ্রোহীরা। তুরস্কের প্রেসিডেন্টের আশা, কোনো দুর্ঘটনা ছাড়াই সিরিয়াজুড়ে চলবে বিদ্রোহীদের অভিযান। তবে বাশার সরকারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইরান।
সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা
সিরিয়ায় নতুন করে চলমান গৃহযুদ্ধে ১৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা করছে জাতিসংঘ। এরইমধ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানো হাজার হাজার বাসিন্দা খাবারের অভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ অবস্থায় সিরিয়ায় থাকা সব মানবিক সংস্থায় অর্থায়ন বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য সহায়তা সংস্থা ডব্লিউএফপি।
সিরিয়ায় সংঘাতের জন্য দায়ী ইসরাইল-যুক্তরাষ্ট্র!
গৃহযুদ্ধের মধ্যেই সিরিয়ায় সরকার ও বিরোধীদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে পৌঁছেছে। ইদলিব, হামা আর আলেপ্পোতে অব্যাহত রয়েছে বিদ্রোহী আর আসাদ বাহিনীর মধ্যে তুমুল সংঘাত। সিরিয়ায় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের দমাতে আসাদ সরকারকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে ইরান সমর্থিত ইরাকি যোদ্ধারা। যদিও হাত গুটিয়ে বসে আছে লেবাননের হিজবুল্লাহ। বিরোধীদলীয় নেতা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে কোনোভাবেই এই যুদ্ধ থামবে না। ইরান বলছে, সিরিয়ায় সংঘাতের জন্য দায়ী ইসরাইল আর যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে তুরস্ক বলছে, সিরিয়ার সাধারণ মানুষের স্বার্থে হলেও এবার একটা সমাধানে আসতে হবে।
তালেবানের কায়দা অনুসরণ করে সিরিয়ায় উত্থান বিদ্রোহীদের!
তালেবানের আফগানিস্তান জয়ের কায়দা অনুসরণ করেই সিরিয়ায় হঠাৎ উত্থান বিদ্রোহীদের। নিজেরা শহর দখল করলেও বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ স্থানীয়দের হাতে ছাড়ার চেষ্টা করছে বলে মত বিশ্লেষকদের। অন্যদিকে ইরান-তুরস্ক-রাশিয়ার টানাপড়েনে জটিল রূপ নিচ্ছে সিরিয়ার পরিস্থিতি।
বিদ্রোহীদের অভিযান রুখতে যৌথ হামলা জোরালো করেছে সিরিয়া-রাশিয়া
আলেপ্পোর পর হামা শহর দখলের পথে বিদ্রোহীদের অভিযান রুখে দিতে রোববার (১ ডিসেম্বর) থেকে যৌথ হামলা জোরালো করেছে সিরিয়া ও রাশিয়া। ইদলিব ও আলেপ্পোতে চালানো হামলায় বিদ্রোহী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। এতে বুধবার (২৭ নভেম্বর) থেকে এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বেড়ে ৪০০ ছুঁইছুঁই অবস্থা। বিদ্রোহীদের দখলে থাকা কয়েকটি শহরও পুনরুদ্ধারের দাবি বাশার আল আসাদ সরকারের। সিরিয়ার এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের কথা জানিয়েছে ইসরাইল। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল যাতে কোনো সুযোগ নিতে না পারে সেদিকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান ইরানের।
বিদ্রোহীদের দখলে সিরিয়ার আলেপ্পোর দুই- তৃতীয়াংশ অঞ্চল
বিদ্যুৎগতির অভিযানে আট বছর পর বিদ্রোহীদের দখলে সিরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আলেপ্পোর দুই- তৃতীয়াংশ অঞ্চল। তুরস্কের সহায়তায় বিদ্রোহীদের পক্ষে অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছে সামরিক গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম। আলেপ্পো পতন ঠেকাতে বাশার আল আসাদের পক্ষ থেকে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। যেখানে তিন দিনেই নিহত হয়েছেন চার শতাধিক বিদ্রোহী। এদিকে ইরানের অভিযোগ, সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করার পেছনে দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল।