চারটি গ্র্যান্ডস্লামের মধ্যে ইউএস ওপেনই একমাত্র টুর্নামেন্ট যেটি নিয়ম করে প্রতিবছরই মাঠে গড়িয়েছে। আগস্টের শুরুতে চোখ ধাঁধানো প্রাইজমানি ঘোষণায় একটু আগেভাগেই আলোচনায় ইউএস ওপেন। প্রায় ১৫০ বছরের দীর্ঘ ইতিহাস সমৃদ্ধ এই টুর্নামেন্টে এবারই প্রথম লাখ টাকার ঘর ছুঁয়েছে প্রথম রাউন্ডের প্রাইজমানি। তবে, বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লাম আসর শুরু হতেই আলোচনা মোড় নিয়েছে অন্যদিকে। টেনিস প্রেমীদের কাছে এখন হট টপিক পুরুষ ও নারী এককে গ্র্যান্ডস্লাম জেতার লড়াইয়ে কে এগিয়ে আর কে পিছিয়ে।
ইউএস ওপেনে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সার্বিয়ান তারকা নোভাক জকোভিচ। বছর ঘুরে আবার যখন আরও একটি ইউএস ওপেন কড়া নাড়ছে দরজায় তখন জকোভিচের সঙ্গী প্যারিস অলিম্পিকের টেনিস ইভেন্টে অধরা স্বর্ণ জয়ের আত্মবিশ্বাস। রেকর্ড ২৪টি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী এই সার্বিয়ান নিশ্চয় সংখ্যাটা বাড়াতেই চাইবেন। তবে, পরিসংখ্যান বলছে ভিন্ন কথা। ২০০৮ সালে রজার ফেদেরারের পর ইউএস ওপেনে আর কোনো টেনিস তারকা এই টুর্নামেন্টে ব্যাক টু ব্যাক টাইটেল জিততে পারেনি। যদিও ইতোমধ্যেই জকোভিচের দখলে আছে চারটি ইউএস ওপেন শিরোপা।
সাম্প্রতিক ফর্ম বিচারে কেউ যদি সবচেয়ে বেশি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী জকোভিচের অদম্য যাত্রায় শিকল পড়াতে পাড়েন তিনি স্প্যানিশ টেনিস তারকা কার্লোস আলকারাজ। সবশেষ উইম্বলডনে নিজের চতুর্থ গ্র্যান্ডস্লাম টাইটেল জেতার পথে ২১ বছর বয়সী এই বিস্ময় বালক লিখেছিলেন জকোভিচ বধের গল্প। সেই বিশ্বাস আর সামর্থ্যের মেলবন্ধনে আলকারাজ জিততে চান আরও একটি গ্র্যান্ডস্লাম টাইটেল।
গতবছর ইউএস ওপেনের নারী এককে সবাইকে চমকে দিয়ে ক্যারিয়ারের অভিষেক টাইটেল জিতেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কোকো গফ। নিজের দেশের মাটিতে এবারো এই আমেরিকানের চোখ দ্বিতীয় টাইটেল জয়ের দিকে। তবে তীর্থস্থানের পরম আকাঙ্ক্ষিত টাইটেলটি জেতার জন্য কোকো গফকে পেরোতে হবে শক্তিশালী এবং র্যাংকিংয়ে এক ও দুই নম্বরে থাকা দুই টেনিস তারকা ইগা শিয়ানটেক ও এ্যারিনা সাবালেনকাকে। বয়স আর টাইটেলের ভারে যারা কোকো গফের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
এখন দেখার বিষয় বছরের শেষ গ্র্যান্ডস্লামে ইউএস ওপেন নতুন কোনো বিজয়ী উপহার দিবে নাকি আবারও পুরোনো চালই ভাতে বাড়বে।