যত বড় আয়োজন তত বেশি তর্ক। আর নতুন নতুন চ্যালেঞ্চের সম্মুখীন দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ প্যারিস অলিম্পিক্স। যার প্রস্তুতি নেয়া হয় অনেকদিন ধরেই।
দীর্ঘ ১০০ বছর পর ফ্রান্স অলিম্পিক গেমসের আয়োজন নিয়ে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। কয়দিন আগে আইফেল টাওয়ারের নিচে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে নিরাপত্তা নিয়ে উঠে প্রশ্ন। আর সেইন নদীতে উদ্বোধনী নিয়েও ছিলো শঙ্কা। আর এর আগে আরও রাশিয়া ইউক্রেন অ্যাথলেটদের অংশগ্রহণ নিয়ে কত আলোচনা।
এবার সার্ফিং গেমসের ভেন্যু নিয়ে শুরু হয়েছে দ্বন্দ্ব। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত একটি দ্বীপ রাষ্ট্র ফরাসি পলিনেশিয়া। এটি ওশেনিয়া অঞ্চলে অবস্থিত। যেখানে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের ফরাসি পলিনেশিয়ায় হবে প্যারিস অলিম্পিক্সের সার্ফিং গেম। সেই গেমস পর্যবেক্ষণের জন্য সাগরে টাওয়ার বসানো নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভেদ। অলিম্পিক্স কমিটি এবং আন্তর্জাতিক সার্ফিং অ্যাসোসিয়েশনের মধ্যে চলছে যুক্তির লড়াই।
আইএসএ বলছে, ফরাসি পলিনেশিয়া তাহিতি দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত সিয়াপো গ্রাম। বিচ হিসেবেও পরিচিত। টাওয়ার বসালে নদীর শৈবাল, মাছসহ ক্ষতিগ্রস্ত হবে গ্রামের মানুষেরা। অলিম্পিক্স কমিটির দাবি, টাওয়ার না বসালে সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা যাবে না সার্ফিং গেমস।
প্যারিস অলিম্পিক্স কমিটির সভাপতি টনি এস্তাগুয়ে বলেন, 'সার্ফিং হওয়া স্থান থেকে বিচের দূরত্ব ৮০০ থেকে ৯০০ মিটার হবে। সেটাই বড় চ্যালেঞ্জ হবে ব্রডকাস্টারদের জন্য। গেমসকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হবে না। তবে জোর করে টাওয়ার স্থাপন করতে চাই না। ঐক্যমতের ভিত্তিতে কোনো একটা সমাধানে পৌঁছানোই এখন জুরুরি বলে আমার মনে হয়'।
সার্ফিং ভেন্যুতে অ্যালুমিনিয়ামের টাওয়ারে দেয়া হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুম, বিদ্যুৎ, পানি এবং ওয়াশরুমের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত। এর জন্য খরচ হবে প্রায় সাড়ে চার মিলিয়ন ইউরো।
এর আগে সার্ফিং ভেন্যু সাগরে জাজিং টাওয়ার বসানোর প্রতিবাদে ৫০০ জন আন্দোলন করে।