চিরাচরিত প্রথা ভেঙে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া ইভেন্ট অলিম্পিকের উদ্বোধন এবার স্টেডিয়ামের বাইরে হয়েছে। তাও আবার নদীতে! অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি যে, নদী আর নদীর তীরবর্তী স্থানে প্যারিস অলিম্পিকের সূচনা অনুষ্ঠান দেখলো ক্রীড়াপ্রেমীরা।
মার্চ পাস্টের শুরুটা হয় গ্রিসকে দিয়ে। তারপর থেকে একে একে নৌযান দিয়ে আসতে শুরু করে দলগুলো। তখনই গান পরিবেশন করেন যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লেডি গাগা।
এরইমধ্যে দেখা যায় বাংলাদেশ দলকে বহনকারী নৌযান। সরাসরি এবারের অলিম্পিকসে সুযোগ করে নেয়া আর্চার সাগর ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আরও চার বাংলাদেশি অ্যাথলেট। যাদের প্রত্যেকেই লাল-সবুজের পতাকার প্রতিনিধিত্ব করবেন।
বর্ণাঢ্য এই আয়োজন সিটি অব লাভ খ্যাত প্যারিসকে করে তুলে উৎসবের নগরীতে। সেই উৎসবের রঙে রঙিন হতে প্রচুর দর্শককে নদী তীরে ভিড় করতে দেখা গেছে। এছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে হাজির হয়েছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা। আর ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁতো ছিলেনই।
বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারকে ঘিরে বিভিন্নরকম প্রদর্শনী ছিল। এর সঙ্গে ফ্রান্সের সিন নদীর সংযোগ সেতুতে একদিকে চলতে থাকে গান আর ফ্যাশন শো। আরেকদিকে মশাল হাতে রহস্যময় একজন দেখাতে থাকেন নানান রকম প্রদর্শনী। এক পর্যায়ে মশাল হস্তান্তর হয় ফ্রান্সের কিংবদন্তী ফুটবলার জিনেদিন জিদানের হাতে। সেই তালিকায় যোগ হয় বিখ্যাত টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল আর সেরেনা উইলিয়ামসের নাম।
তাদের থেকে কয়েক হাত ঘুরেই মশাল থেকে বড় একটি বেলুনে আগুন দেয়ার মাধ্যমে উদ্বোধন হয় প্যারিস অলিম্পিক গেমসের।