প্যারিস অলিম্পিকে পদকের লড়াইয়ে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উড়বে কি না তা নিয়ে এখনও রয়েছে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব। কেননা কোনো ফেডারেশন নিজেদের যোগ্যতায় নাম উঠাতে পারেনি আয়োজনে। ওয়াইল্ড কার্ডে খেলার জন্য চার ডিসিপ্লিনে ৬ ক্রীড়াবিদের নাম পাঠানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া শব্দ নেই অলিম্পিক কর্তৃপক্ষের।
চারদিকে হতাশার মধ্যে ভালো কিছুর আশা শ্যুটিং ফেডারেশনের। এপ্রিলে ব্রাজিলে শ্যুটিং বিশ্বকাপে স্বপ্ন ছোঁয়ার অন্তিম পর্যায়ে রবিউল-জাফিরারা। শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতির জন্য নিজেদেরকে তৈরি করতে ব্যস্ত শ্যুটাররা।
শ্যুটার রবিউল ইসলাম বলেন, 'প্রত্যেকটি শ্যুটারের একটা গোল থাকে। আমারও একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করা আছে। সে লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।'
১০ মিটার এয়ার রাইফেলের জন্য দুইজন নারী আর চারজন পুরুষ শ্যুটারকে বাছাই করেছে ফেডারেশন। শ্যুটার-কোচসহ ১০ জনের বহরে ব্রাজিলের টুর্নামেন্টে অংশ নিতে বিশাল অঙ্কের অর্থ ব্যয় করছে ফেডারেশন। বেশিরভাগ অর্থই চলে যাবে বিমানে সফর করায়।
শ্যুটিং ফেডারেশনের ক্যাম্প কমান্ডার মুশতাক ওয়াইজ বলেন, 'ট্রেনিং, হোটেল, লোকাল ট্রান্সপোর্ট এবেং অন্যান্য খরচগুলো বেশি হবে। নতুন মন্ত্রীর কাছে আমরা চিঠি দিয়েছি। এ ট্যুরে আমাদের প্রায় ১ কোটি টাকার মতো খরচ হচ্ছে।'
এর আগে বছরের শুরুতেই ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে অল্পের জন্য লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হয়েছে শ্যুটাররা। তখন ৫০ লাখ টাকা অর্থ ব্যয় করেছে ফেডারেশন।