বাংলার ফুটবলে নতুন করে পালা বদলের হাওয়া। এই হাওয়া লেগেছে নারীদের হাত ধরে। ২০২২ এর সাফ এর পর আর দমিয়ে রাখা যায়নি দেশের নারীদের। বয়সভিত্তিক থেকে জাতীয় দল সব জায়গায় নারী ফুটবলারদের এখন জয়জয়কার।
প্রতিপক্ষের সামনে শক্তিশালী আর কৌশলী মনোভাব গড়তে তহুরা, সৌরভীদের জন্য আনা হয়েছে নারী ট্রেইনার। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সুমাইয়া চৌধুরী শোনালেন, নারী ফুটবলারদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ফিটনেস ট্রেইনার সুমাইয়া চৌধুরী বলেন, ‘মেয়েরা যদি মা বা বোন সমতুল্য কাউকে পায়, তাহলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। আমাকে ১ মাস আগে নেয়া হয়েছে, ত্রিদেশীয় ম্যাচের আগে। একটু চাপ আছে তবে আমার মনে হয়, আগে মেয়েদের ফিটনেস ভালোই ছিল, এখন আমি আসায় আরেকটু প্লাস পয়েন্ট হবে।’
সামনেই জর্ডানে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলতে উড়াল দেবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। সেই সিরিজের আগে খেলোয়াড়দের আলাদাভাবে কী কাজ করছেন এই ট্রেইনার?
সুমাইয়া চৌধুরী বলেন, ‘মেন্টাল হেলথ নিয়েও কাজ করছি। চেষ্টা করছি যেন তাদের মেন্টাল হেলথ ঠিকঠাক থাকে। এতে ম্যাচে তারা ভালো পারফর্ম করতে পারবে।’
নিজেদের ফিট রাখতে বাফুফে ভবনে নির্মিত জিমনেশিয়ামে প্রতিনিয়ত ব্যায়াম করেন নারী এবং পুরুষ ফুটবলাররা। চার বছর আগে প্রায় কোটি টাকা খরচে গড়া এই জিমনেশিয়ামের এখন কি অবস্থা? আধুনিক সরঞ্জামের সুবিধা পাচ্ছেতো ফুটবলাররা?
নারীদের ফিটনেস ট্রেইনার বলেন, ‘ইকুইপমেন্টগুলো অনেকখানিই আছে, প্রায় ৭৫ শতাংশ। বাকি যেগুলো নেই, আমরা আপাতত অল্টার করে কাজ করছি। বাফুফে সরঞ্জামগুলো ইতোমধ্যেই অর্ডার করে দিয়েছে।’
লম্বা সময়ের জন্য নারী ফুটবল দলের সঙ্গে থাকার ইচ্ছার কথা জানালেন সুমাইয়া।