লন্ডনে জন্মগ্রহণ করলেও হামজা চৌধুরীর নানা বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। তাই এদেশে অনেকবারই এসেছেন বর্তমানে লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলার। নাড়ীর টান ও সমর্থকদের প্রবল ভালোবাসা উপেক্ষা করতে পারেননি হামজা। তবে এর আগে ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়েও খেলেছেন এই তরুণ।
হামজা লেস্টার একাডেমির গ্র্যাজুয়েট হলেও পেশাদার ফুটবলে অভিষেক হয়েছিলো বার্টন অ্যালবিয়নের হয়ে। ২০১৫-১৬ এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে এই ক্লাবের হয়েই মাঠে নেমেছিলেন। তবে ২০১৭ সালে হামজার লেস্টারের হয়ে শুরু হয় নতুন অধ্যায়।
তাদের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ, এফএ কাপ ও ইংলিশ সুপার লিগ খেলেছেন ডিফেন্সিভ এই মিডফিল্ডার। ক্লাবটির সাথে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে তার। তবে বর্তমানে শেফিল্ড ইউনাইটেডের হয়ে খেলছেন হামজা চৌধুরী। মাঝে ওয়ার্টফোডের হয়েও খেলেছেন হামজা।
পারিবারিক জীবনে হামজা-অলিভিয়া দম্পতির এক কন্যা ও দুই পুত্র সন্তান আছে। এই প্রথম পুরো পরিবারকে সংগে নিয়ে নিয়ে দেশে এসেছেন তিনি। ইসলাম ধর্মের প্রতি হামজার রয়েছে অগাধ শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। তাই নবীদের নামে সন্তানদের নাম রেখেছেন হামজা নিজেই।
বলে রাখা ভালো, বাংলাদেশে এসেই ভারতকে হারানোর হুংকার দিয়ে রেখেছেন হামজা চৌধুরী। আর তা যদি বাস্তবে পরিণত হয়, দেশের ফুটবলে নিশ্চিত করেই ঘটবে বিপ্লব। অপেক্ষাটা ২৫ মার্চ পর্যন্ত।