সুদূর যুক্তরাজ্য থেকে লাল সবুজের জার্সি জড়াতে এরইমধ্যে বাংলার মাটিতে পা রেখেছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। এসেই জানিয়েছেন প্রত্যাশার কথা। হামজার সুরে সুর মিলিয়ে ভারত বধের স্বপ্নে বিভোর সংগঠক এমনকি সমর্থকরাও।
বাংলাদেশ ফুটবলের সমর্থকদের মধ্যে একজন বলেন, 'ভাতের প্রতিপক্ষ হয়ে বাংলাদেশ এর আগেও খেলেছে। ভালোও খেলেছে। সে জায়গা থেকে আমরা মনে করি যে বাংলাদেশের জেতার চান্স আছে।'
অন্য একজন বলেন, 'হামজা চৌধুরি যদি ভালো করে মিডফিল্ডটা কন্ট্রোল করতে পারে সেক্ষেত্রে ফাহমিদুল খুব ভালো অ্যাটাক ক্রিয়েট করতে পারবে।'
হামজার পায়ের জাদুতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের কথা ভাবলেও দলীয় খেলায় ভূমিকা রাখতে হবে বাকি দশজনকেও। তাই সবাইকে মাঠে উজাড় করে দিতে হবে নিজেদের সামর্থ্যের সবটুকু।
বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান বলেন, '১১ জনকে অর্গানাইজ হয়ে খেলতে হবে। তাহলে ফলাফল ভালো পাওয়া যাবে। এছাড়া এটা খুব কঠিন ব্যাপার। একজন বা দুইজনের খেলা কিন্তু ফুটবল না।'
শুরুটা হয়েছিল জামাল ভূঁইয়াকে দিয়ে। পরের এক যুগে তারিক রায়হান কাজী, সৈয়দ শাহ কাজেমের পর এবার ইংলিশ লিগে খেলা হামজা চৌধুরী ও ইতালিতে বেড়ে ওঠা ফাহমিদুল ইসলাম। শেকড় বাংলাদেশে এমন প্রতিভাবান প্রবাসীদের খোঁজে সবসময়ই চোখ-কান খোলা রাখবে বাফুফে।
বাফুফের কার্যনির্বাহী সদস্য টিপু সুলতান বলেন, 'তরুণ যে খেলোয়াড়গুলো খেলছে দ্বৈত নাগরিকসহ তারা কিন্তু অনেক ভালো এবং স্কিলড খেলোয়াড়। আমার মনে হয় পর্যায়ক্রমে পাইপলাইনে যে খেলোয়াড়গুলো আছে সভাপতি তাদের আনার চেষ্টা করবেন। এবং উনি আনবেনই।'
আপাতত অপেক্ষা কেবল হামজা চৌধুরীর লাল-সবুজ জার্সি গায়ে জড়ানোর। ২৫ মার্চ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে লড়াইয়ে বাংলাদেশ দলে অভিষেক হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলারের।